ওয়েব ডেস্ক:  ইচ্ছে ছিল কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের ৮০ ফুট উচ্চতার দুর্গার 
যে রেকর্ড, তা ভেঙে  ফেলার। সাফল্যকে ছোঁয়ার জন্য বাজেটের থেকে মনের জোরটাই আসল, তা প্রমাণ করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী লক্ষ্য ছিল  'গিনেস'-এর খাতায় নাম তোলারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লক্ষ্যপূরণের একেবারে শেষ ধাপেই দাঁড়িয়ে পুজো উদ্যোক্তরা। আর কয়েকদিন বাদেই পুজো। কিন্তু এ ভাবে তাঁদের সব পরিকল্পনা ধূলোয় মিশে যাবে কল্পনা করতে পারেননি গুয়াহাটির বিষ্ণপুরের দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। ক্ষণিকের ঝড়েই সব ধূলিসাত্।


বিশ্বকর্মা পুজো। সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও ছিল। তারই মধ্যে চলছিল জোর কদমে কাজ। বাঁশ বাঁধার কাজে তখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন শিল্পীরা। আচমকাই বিকেলের এক দমকা ঝোড়ো হাওয়ায় ওলোটপালট করে দিল সবকিছু। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিল্পীদের হাতে ধীরে ধীরে মূর্ত হয়ে ওঠা সম্ভাব্য দীর্ঘতম 'দুর্গ্গা'য় ভাঙন ধরল। চোখের সামনে ভেঙে পড়ল ১১০ ফুটের নির্মীয়মান দুর্গা।


শিল্পী নূরউদ্দিন আহমেদ অবশ্য দমতে নারাজ। ৬ হাজার বাঁশ দিয়ে তিনি যে মূর্তি গড়ছিলেন, তা এই কয়েকদিনের মধ্যে ফের তৈরির চেষ্টা করছেন দৃঢ় প্রত্যয়ী নূরউদ্দিন আহমেদ। নিজেদের কর্মদক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখছেন আরও ৪০জন শিল্পীও। এখনও তাঁরা বিশ্বাসী, সময় অল্প হলেও, তাঁরা ১১০ ফুট দু্র্গা নির্মাণ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেবেন। ১৯৭৫ সাল থেকে দুর্গারই মূর্তি গড়ে চলেছেন শিল্পী নূরউদ্দিন। এখনও পর্যন্ত দু’শোটিরও বেশি মূর্তি গড়েছেন। তাঁর চোখের চাউনিতেই ভরসা রাখছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রত্যেকেই বিশ্বাসী, শিল্পীদের মনোবলেই মূর্ত হয়ে উঠবে ১১০ ফুটের দেবী 'দুর্গ্গা'।