নিজস্ব প্রতিবেদন: আগেভাগেই বলে রাখা ভাল সব চরিত্র কাল্পনিক। এটা একটি নিছকই গল্প। কেউ কেউ আবার গল্প হলেও সত্যি ভাবতে পারেন। তবে সে দায় বর্তাবে তাঁর উপরেই। কিন্তু গল্পটা কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরীক্ষায় ডাহা ফেল দুই ছাত্র। একজন পেয়েছে ১৯ আর একজন তার থেকে দু'কদম পিছিয়ে। পাস মার্ক ৩৫ নম্বর। কিন্তু ওই দুই ছাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করে তাদের পাস করিয়ে দিতে হবে। কোনও ঘুষ দিয়ে নয়, প্রভাবশালী বাবার ক্ষমতা প্রয়োগ করেও নয়, যুক্তি দিয়ে পাস করাতে হবে ওই ছাত্রদের।


আরও পড়ুন- তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা মমতার! ২০১৯ নির্বাচনে অবিজেপি জোট জল্পনা তুঙ্গে


স্কুল কর্তৃপক্ষ হকচকিয়ে জানতে চায়, কী সেই যুক্তি? ওই দুই ছাত্রের একজন বলেন, "স্যর, আমরা কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ নম্বর পাইনি। সরকার গড়ার ক্ষমতা আমাদের দু'জনের কারও নেই। কিন্তু ভেবে দেখলাম, আমাদের দু'জনের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করলে অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমরা পাস করে যাচ্ছি।" 'সংখ্যাগরিষ্ঠ', 'সরকার', 'ম্যাজিক ফিগার' এই শব্দশুনে হতভম্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ। অফিসে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও এ-ওর দিকে তাকিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু এমন 'জটিল অঙ্ক' বোধগম্য হয়নি কারও। এরপর এক আধিকারিক বলেন, "একটু খোলসা করে বলতো তোরা কী চাস?"


আরও পড়ুন- দুই বিধায়ক নিয়েই মেঘালয়ে কংগ্রেসের হাতে পেন্সিল ধরাল বিজেপি


তখন অন্য ছাত্রটি বলে, "স্যর দিল্লি, বিহার, মেঘালয়ে যদি রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পেয়েও সরকার গড়তে পারে, তাহলে আমরা পারব না কেন? মেঘালয়ে মাত্র ২টি আসন পেয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি, আর আমরা তো ১৯ এবং ১৭ পেয়েছি। প্লিজ স্যর আইডিয়াটা ভেবে দেখবেন।" এই 'আইডিয়া' পরবর্তীকালে কার্যকর হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানা নেই। ওই দুই ছাত্রকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিনা তাও জানা যায়নি। কিন্তু দুই ছাত্রের একজনের বাবা জানান, এখন বুঝতে পারছি কেন নির্বাচনের সময় টিভি-তে মুখ গুঁজে পড়ে থাকত ছেলে। তখন ভাবতাম রাজনীতিতে বিশেষ উত্সাহ রয়েছে। কিন্তু ওদের (রাজনৈতিক দলগুলির) মতো এমন কুবুদ্ধি যে ছেলের মাথায় ঘুরছে, জানব কী করে বলুন তো!


আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে সপা-বসপা জোট হবে না, সাফ জানালেন মায়াবতী