নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর পদের সঙ্গে অনুষ্ঠান সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই যুক্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রোম সফরের অনুমতি দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। কোন আইনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আটকানো হল? প্রশ্ন করেন বিজেপির (BJP) রাজ্যসভার সাংসদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইটারে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) লেখেন, "কেন পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) রোমে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগ দিতে দেওয়া হল না? কোন আইনে তাঁকে আটকানো হল?" স্বামীর পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, "সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) একদম ঠিক কথা বলেছেন। বিদেশ মন্ত্রক অন্যায় করেছে অনুমতি না দিয়ে। এটা ঈর্ষার জন্য করেছে।" সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "দলের পক্ষ থেকে যা উত্তর দেওয়ার আমরা দিয়েছি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)  ধারাবাহিক ভাবে অনেক প্রশ্ন তুলছেন। তাঁর সম্পর্কে বলা আমার কোনও এক্তিয়ার নেই।"  


আরও পড়ুন: Sharmistha Mukherjee: ছোট থেকে ক্ষমতা দেখছি, সেই লোভে অন্য দলে যাওয়ার প্রশ্ন নেই, রাজনীতি ত্যাগের পর অকপট প্রণব-কন্যা


আরও পড়ুন: Punjab: রবিবার শপথ নতুন মন্ত্রিসভার, আসতে চলেছে নতুন ৭ মুখ



আগামী ৬ এবং ৭ অক্টোবর ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ পান মুখ্যমন্ত্রী। পত্রের শুরুতেই সামাজিক ক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অবদানের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রোমের Community of Sant'Egidio এর সভাপতি প্রফেসর মার্কো ইমপ্যাগলিয়াজো। চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি লেখেছিলেন, 'গত দশ বছরে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও দেশের উন্নয়নে আপনার অবদানের জন্য ব্যক্তিগত অভিনন্দন।' এরপর তিনি তাঁদের সংগঠন সম্পর্কে সংক্ষেপে জানান যে সামাজিক ন্যায়, বিশ্ব শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ববোধ, দুঃস্থদের সাহায্য ও অসহায়দের হয়ে কাজ করে Community of Sant'Egidio সংগঠন। এই সংগঠনের সব কর্মীই স্বেচ্ছাসেবী, যাঁরা সামাজিক ন্য়ায় ও দুঃস্থদের জন্য কয়েক দশক ধরে লড়াই করে চলেছেন। আটের দশকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে Community of Sant'Egidio-র 'Peoples and Religions' বিভাগ বিশ্বের সব ধর্মগুরু এবং ক্রিশ্চান চার্চের মধ্যে নিয়মিত কথোপকথনের আয়োজন করে। তার সঙ্গেই সংযুক্ত হন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। পৃথিবী জোড়া ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাঁদের সার্বিক উদ্দেশ্য।