শান্তনুর সাসপেন্ড বেআইনি` ও ভিত্তিহীন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি: TMC
বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য শান্তনুকে (Santanu Sen) সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। তাঁর আচরণ 'অগণতান্ত্রিক' ও 'অসংসদীয়' বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)। এই পদক্ষেপ 'বেআইনি' ও 'ভিত্তিহীন' বলে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)।
শান্তনুকে (Santanu Sen) পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) ও মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। ডেরেক বলেন,'অন্যান্য বিরোধী দলের মতো আমরাও চাই সংসদ চলুক। ৩-৪টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা চাইছি। বিচারব্যবস্থা, সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করছে স্পাইওয়্যার। কৃষি বিলের প্রতিবাদে তৃণমূলের ২ সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছিলেন। আমরা চাই তা প্রত্যাহার করা হোক।'
সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা সরকারপক্ষ এড়িয়ে যেতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তাঁর কথায়,'রাজ্যসভা ও লোকসভায় আমরা আলোচনা চাই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জনসাধারণের নজরে আনা হোক। পেগাসাস একটি সেনা সফটওয়্যার। দেশের সরকারের সঙ্গে শুধু লেনদেন করে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের অনুরোধ করেছেন আমাদের দলনেত্রী। আমাদের দলও তাই চায়। কিন্তু আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংসদে আলোচনা না হলে কোথায় হবে? কফি হাউস না রাস্তায়? এটা দুর্ভাগ্যজনক ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বর্হিভূত।'
সুখেন্দুশেখর (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন,'গত ৪ দিন ধরে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা চাইছি। নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা কাউকে রেয়াত করা হয়নি। অথচ আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন আলোচনা হচ্ছে না তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি? এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও খামখেয়ালি। যখন কোনও সদস্য অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না, তখন তিনি অশান্ত হন। শান্তনুর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আজকের কার্যবিবরণীতে ছিল না। কিন্তু তা থাকা উচিত ছিল। এমনকি সাপ্লিমেন্টারি তালিকাতেও ছিল না। এটা বেআইনি ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি।'
তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য প্রতিবাদ করেন শান্তনু সেন (Santanu Sen)। তিনি টুইট করেন,'আমাকে অসংসদীয়ভাবে সংসদ থেকে সাসপেন্ড করার জন্য ধন্যবাদ নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারকে। নিশ্চিত থাকুন, এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে বাধা দেওয়া যাবে না। সংসদে গুন্ডামির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরীকে হয়তো পুরষ্কৃত করা হবে।'
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় 'ফোনে আড়ি পাতা' নিয়ে বলছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তখন তাঁর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে ছিঁড়ে দেন শান্তনু সেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের দিকে ছুড়ে দেন কাগজ। শুক্রবার সকালে বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য শান্তনুকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেন,'অগণতান্ত্রিক ও অসংসদীয় আচরণের জন্য সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল।'
আরও পড়ুন- পেগাসাস-কাণ্ডে সতর্ক Mamata, রাজ্যের মন্ত্রীদের দিলেন ফোন-নির্দেশ