নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের নারখাদক বাঘিনী অবনিকে গুলি করে মারার ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে নানা মহলে। আদালতের আদেশে ওই বাঘিনীকে গুলি করা হয়েছে বলা হলেও আদালতের সেরকম কোনও নির্দেশ ছিলই না বলে অভিমত অনেকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পরকীয়ায় আপত্তি, গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে কামড় অভিযুক্তের


পূর্ব মহারাষ্ট্রের ইয়াভাটমাল জেলার ত্রাস ওই বাঘিনীকে শুক্রবার ভোররাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে বাঘিনীটি মোট ১৪ জনকে হত্যা করেছে। অবনির ১০ মাসের দুটি বাচ্চা রয়েছে।


সম্প্রতি ওই বাঘিনীকে গুলি করে মারার নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র বন দফতর। কিন্তু তা দেওয়া হয় একেবারে শেষ উপায় হিসেবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা ছিল প্রথম বাঘটিকে ঘুমাপাড়ানি গুলি করে সংজ্ঞাহীন করতে হবে ও তার পর তাকে খাঁচাবন্দি করতে হবে।


সুপ্রিম কোর্টের যদি ওই ধরনের কোনও নির্দেশ থাকে তাহলে তা করা হল না কেন? মহারাষ্ট্র বনদফতরের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেখানে বলা হয়, বাঘিনীটিকে মেরে ফেলা হলে তার দুটি বাচ্চা আর বাঁচবে না। কারণ শিকার ধরে জীবন ধারন করার বয়স তাদের হয়নি। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ তা মেনে নেয়। এর পরেও কেন গুলি করা হল বাঘিনীটিকে? বন দফতরের দাবি শুক্রবার শেষপর্যন্ত তল্লাসি দলের ওপরে হামলা চালায়। তাই তাকে গুলি করা হয়েছে।


বাঘিনীটি ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল বন দফতর। কাজে লাগানো হয়েছিল একশো ক্যামেরা, প্যারা গ্লাইডার, শিকারি কুকুর ও হায়দরাবাদের পেশাদার শ্যুটার নবাব নবাব শাফাতকে। শুক্রবার শেষপর্যন্ত অবনিকে গুিল করে মারেন শাফাতের ছেলে আসগর আলি। গত দশ মাস ধরে ওই বাঘিনীটির খোঁজ করছিলেন শাফাত ও তার দলবল।


আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিকার কাছে একটাই 'কথা' জানতে চায়, উত্তর না পেতেই চরম পদক্ষেপ  


কোনও কোনও মহল থেকে এমনও বলা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মাঙ্গানথিয়ার ওই বাঘিনীটিকে মারার পেছনে প্রধান মাথা। কারণ যে এলাকায় বাঘটি উপদ্রাব করছিল বলে অভিযোগ সেই অঞ্চলটিকে শিল্পপতিদের হাতে তুেল দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের।