ওয়েব ডেস্ক : ১০ বছরের ধর্ষিতার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। PGI-এর মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট হাতে পেয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি জে এস খেখর ও বিচারপতি চন্দ্রচুরের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই রিপোর্টে শিশুটির স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে খুশি ডিভিশন বেঞ্চ। বর্তমানে শিশুটি ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, মাসের পর মাস তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে তারই মামা। এরপরই গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে।


চিকিত্‍সকদের বক্তব্য, এই বয়সের কেউ সাধারণ ভাবে গর্ভবতী হয় না। এটা বিরল ঘটনা। আর তাই তার জটিলতাও অনেক বেশি। নাবালিকার বয়স অনুসারে ৯ মাসের গর্ভাবস্থায় তার পক্ষে নর্মাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব নয়। আবার, সিজার করা হলে থেকে যাচ্ছে জীবনহানির ঝুঁকি।


আরও পড়ুন- ১০ বছরের শিশুর গর্ভপাতের আর্জি খারিজ আদালতে!


এই পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই চণ্ডীগড় জেলা আদালতে শিশুটির পরিবার ও চিকিত্‍সকরা তার গর্ভপাতের আর্জি জানায়। কিন্তু, আদালতের তরফে আইনি জটিলতার কথা সামনে রেখে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে সেই আর্জি।


এরপরই সেই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিশুটির পরিবার। আদালতের নির্দেশে গঠন করা হয় PIG-র তত্বাবধানে মেডিক্যাল বোর্ড। তাদের রিপোর্ট অনুসারে শিশুটি বর্তমানে ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী। আর তাকে প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাই এখন গর্ভপাতের প্রয়োজন নেই। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শিশুটির গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট অনুসারে ২০ সপ্তাহের বেশি কেউ গর্ভবতী থাকলে, তাঁর গর্ভপাত করার অনুমতি দেয় না আদালত। তবে, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে গর্ভস্থ শিশুর শারীরিকভাবে কোনও সমস্যা থাকলে তখন আইনের পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।