নিজস্ব প্রতিবেদন: মাওবাদী যোগে অভিযুক্ত ৫ মানবাধিকার কর্মীর গৃহবন্দি দশার মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। ধৃত ৫ মানবাধিকার কর্মীর জামিনের আবেদন  করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। গত ৩১ অগস্ট তাঁদের গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর আশঙ্কার মুখে রাফালহীন ভারত, উদ্বিগ্ন বায়ুসেনা প্রধান


উল্লেখ্য, গত ২৮ অগস্ট দেশের নানা শহরে তল্লাসি চালিয়ে ৫ মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুনা পুলিস। এঁনারা হলেন দক্ষিণের কবি ভারাভারা রাও, আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ, সমাজকর্মী ভার্নন গঞ্জালভিস, অরুণ ফেরেরা এবং গৌতম নভলেখা। তাঁদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সক্রিয় সদস্য হওয়ার অভিযোগ তুলেছে মহারাষ্ট্র পুলিস। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে পুলিস জানিয়েছে, বিরোধী স্বর দমন করতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। বরং সরাসরি মাওবাদী যোগ রয়েছে তাঁদের। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ রেখে সমাজে বিশৃঙ্খল তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে  এই অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃত মানবাধিকার কর্মীদের বাড়ি তল্লাসি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। পুলিস জানিয়েছে, সে সব নথি থেকেই স্পষ্ট যে সমাজে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিলেন তাঁরা। পুলিসের দাবি, গত বছর ৩১ ডিসেম্বরে ভীমা কোরেগাঁও হিংসার পিছনে তাঁদের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। অভিযোগ, এর ক’দিন আগেই এলগার কনক্লেভ-এর গোপন বৈঠকে উস্কানিমূলক বক্তৃতা রাখেন ওই মানবাধিকার কর্মীরা। যার জেরেই কোরেগাঁও হিংসা ভয়াবহ হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন- বন্ধুত্ব চুকিয়ে কি যুদ্ধের পথে বিজেপি-বিজেডি?


উল্লেখ্য, মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগ থাকার অভিযোগের প্রমাণপত্র আদালতে পেশ করার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে তা প্রকাশ করে পুণা পুলিস। এ জন্য শীর্ষ আদালতের ভর্ত্সনার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। উল্টে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিরোধী স্বর গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’। এটিকে দমন করলে প্রেসার কুকার বিস্ফোরণ হতে পারে।