করোনা কি বিমানে ছড়ায় না? মাঝের আসনে যাত্রী কেন? কেন্দ্রকে `সুপ্রিম` প্রশ্ন
আদালতের ভর্ৎসনার মুখে এয়ার ইন্ডিয়া ও কেন্দ্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমানেরপ ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণের আবহেও মাঝের আসন খালি রাখা হচ্ছে না। এনিয়ে সোমবার 'সাধারণ জ্ঞান' স্মরণ করিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলির চেয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যে অগ্রাধিকার দিক সরকার।
২৩ মার্চ ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাঝের আসন ফাঁকা রাখতে হবে। কিন্তু প্রবাসীদের ফেরাতে 'বন্দে ভারত মিশন'-এ সেই মানা হয়নি বলে অভিযোগ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এয়ার ইন্ডিয়ার চালক দেবেন যোগেশ কানানি। এয়ার ইন্ডিয়া আদালতে জানায়, সরকার নতুন বিধি জারি করায় ডিজিসিএ-র আগের নিয়মটি বলবত্ হয়নি। বিমানের মাঝের আসনের টিকিট বিক্রি রদ করে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিষয়টির দ্রুত শুনানি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকার ও এয়ার ইন্ডিয়া। সোমবার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় কোয়েরেন্টিন ও পরীক্ষাই সেরা পদ্ধতি। আসনের মাঝে ব্যবধান না রাখলেও চলে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মাঝের আসনটি খালি থাকবে না। পরিবারের একসঙ্গে যাত্রাও ব্যাহত হতে পারে।
সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে প্রশ্ন করেন, আপনি কীভাবে বলতে পারেন, এতে যাত্রীরা আক্রান্ত হবেন না? ভাইরাস কি বুঝতে পারে এটা বিমান? পাশাপাশি বসে থাকলে তো সংক্রমণ হবেই। আদালতের পর্যবেক্ষণ, করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব যে জরুরি এটা তো সাধারণ বুদ্ধিই বলে। বিমানের বাইরে দূরত্ব রাখা হলে বিমানের মধ্যে নয় কেন?
আদালতের ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র জানায়, ৬ জুন পর্যন্ত সমস্ত বুকিং হয়ে গিয়েছে। তখন আদালত নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে মাঝের আসনে যাত্রী বসান। তবে ৬ জুনের পর বুকিং নেওয়া যাবে না। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মামলা চলাকালীন সরকার বিধি পরিবর্তন করতে পারে বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- টানা ৪দিন করোনা আক্রান্তের রেকর্ড বৃদ্ধি, বিশ্বে দশমস্থানে উঠে এল ভারত