নিজস্ব প্রতিবেদন: কালো টাকার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সুইত্জারল্যান্ডের সঙ্গে তথ্য বিনিময় নিয়ে চুক্তিও করেছে ভারত। তাতে সুইস ব্যাঙ্কগুলির ভল্টে কিছুটা টান পড়েছিল। তবে ২০১৭ সালের সেই 'ট্রেন্ড' বদলে এবার সেদেশে ভারতীয়দের আমানত বাড়ল ৫০ শতাংশ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, সে দেশের ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়ে সুইস মুদ্রায় তা হয়েছে ১.০১ ফ্র্যাঙ্ক (৭ হাজার কোটি)। এমনিতে বিদেশি গ্রাহকদের মোট আমানত ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১.৪৬ ট্রিলিয়ন ফ্র্যাঙ্ক(ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ লক্ষ কোটি)।


কয়েক দশক ধরেই আয় বহির্ভূত টাকা লুকিয়ে রাখার নিরাপদ জায়গা হয়ে উঠেছে সুইত্জারল্যন্ডের ব্যাঙ্কের ভল্ট। কালো টাকার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার যখন তত্পরতা বাড়িয়েছে, তখন সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ বাড়ায় বিস্মিত অনেকেই। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সুইস ব্যাঙ্কগুলিতে ভারতীয়দের জমা ৪৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তা পৌঁছেছিল ৪,৫০০ কোটি টাকায়। ১৯৮৭ সাল থেকে সুইত্জারল্যান্ডের আর্থিক তথ্য প্রকাশের পর থেকে সেবারই সবথেকে কমেছিল ভারতীয়দের আমানতের মোট অঙ্ক।


সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে ভারতীয়রা সেদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে সরাসরি জমা করেছিলেন ৯৯৯ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক (৬,৮৯১ কোটি টাকা)। সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলির মাধ্যমে জমা পড়েছিল আরও ১৬.২ মিলিয়ন ফ্র্যাঙ্ক বা ১১২ কোটি।        


উল্লেখ্য, কালো টাকার মোকাবিলায় ভারতকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সুইত্জারল্যান্ড। দু'দেশের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান নিয়ে চুক্তিও হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ধাপ ধাপে ভারতকে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেবে ইউরোপের এই দেশ।


আরও পড়ুন- পুরীর মন্দিরে সস্ত্রীক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অস্বীকার মন্দির কর্তৃপক্ষের