নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে ৭ দোষী সাব্যস্তের মুক্তির আবেদন করবে তামিনলাড়ু মন্ত্রিসভা। রবিবার একথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডি জয়াকুমার। এই মর্মে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করা হবে মন্ত্রিসভার তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজীব হত্যার দোষী সাব্যস্ত নলিনী, মুরুগান, পেরারিভিলান, রর্বাট পায়াস, রবিচন্দ্রন, সায়ান্থন ও জয়াকুমার ইতিমধ্যেই ২৭ বছর জেলে কাটিয়েছে। ২০১৪ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা একবার এদের মুক্তির চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাতে আপত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন-তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন কেষ্ট, দেখুন ভিডিও


রবিবার টানা দুঘণ্টা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যের মন্ত্রী জয়াকুমার ঘোষণা করেন, সংবিধানের ১৬১ ধারা অনুযায়ী ওইসব দোষীসাব্যস্তের মুক্তির জন্য লিখিত আবেদন করা হবে রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে।


রাজীব গান্ধী হত্যার দোষী সাব্যস্ত এ জি পেরারিভালানের আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় তাঁকে মুক্তি দিতে পারেন রাজ্যের রাজ্যপাল। তার পরই রাজ্য সরকার ৭ দোষী সাব্যস্তের মুক্তির ব্যাপারে বৈঠকে বসে। পাশাপাশি জয়াকুমার জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার ওইসব সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়কে স্বাগত জানায় বিরোধী ডিএমকে, এমডিএমকে ও পিএমকে।


আরও পড়ুন-অজেয় ভারত, অটল বিজেপি, ২০১৯-এ দলের স্লোগান ঘোষণা করলেন মোদী


প্রসঙ্গত, জয়ললিতার আমলে দোষী সাব্যস্ত ওই ৭ জনকে মুক্তি দিতে একটি প্রস্তাব পাস করে তামিলনাড়ু বিধানসভা। গত চার বছরে ওই ৭ জনের মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২ বার আবেদন করে তামিলনাড়ু সরকার কিন্তু তা প্রত্যাখান করে কেন্দ্র।


উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ু শ্রীপেরুমবুদুরে এলটিটিই-র আত্মঘাতী বোমারু ধানুর বিস্ফোরণে নিহত হন রাজীব গান্ধী। ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের সাজার বিষয়টি তামিলনাড়ুর কাছে আবেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের অনেকেই মনে করেন দোষী সাব্যস্তদের ঘটনায় ভূমিকা খুবই নগন্য। তাদের ওই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।