`ট্যাটু থাকলে চাকরি না পাওয়ার কারণ নেই`, রায় জানাল বম্বে হাইকোর্ট
ট্যাটু কখনই আবেদনকারীর দায়িত্ব নির্বাহের প্রতিবন্ধকতা নয়। চাকরির সমস্ত শর্তই তিনি পূর্ণ করেছেন। আইএসএফ-কে তাদের নিয়মে পরিবর্তন আনতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্যাটু থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না- এই মিথ এবার ভাঙার পথে। সম্প্রতি যুগান্তকারী এক রায়ে বোম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে, "ট্যাটু কখনই চাকরির প্রতিবন্ধকতা হতে পারে না।" বম্বে হাইকোর্টের এই রায়েই সিআইএসএফ-এর চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন মুম্বইয়ের সোলাপুরের বাসিন্দা শ্রীধর পাখরে।
আরও পড়ুন- রাজস্থানে উপনির্বাচনে বিজেপিকে হোয়াইটওয়াশ করল কংগ্রেস
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স-এর একটি পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন শ্রীধর। সিআইএসএফ-এর কনস্টেবল তথা চালকের ওই পদের জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিতও হন তিনি। নিয়োগের সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ম্যাডিকেল পরীক্ষার সময়ই আটকে দেওয়া হয় শ্রীধরকে। কারণ হিসেবে বলা হয়, ট্যাটু থাকলে সিআইএসএফ-এ চাকরি হয় না।
আরও পড়ুন- নোয়াপাড়ায় লক্ষ্যভেদের পর অর্জুনের মাছের চোখ বিহার
এরপর নিজের ডান হাত থেকে ট্যাটু তুলে ফেলার হাজারো চেষ্টা করেন শ্রীধর। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে চাকরি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শ্রীধর আদালতকে জানান, জওয়ানদের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় চিহ্নের ট্যাটু থাকলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়। সিআইএসএফ-এরও তাই করা উচিত। আদালতে সিসিআইএসএফ-এর একটি নির্দেশিকার কথাও জানিয়েছেন শ্রীধর।
আরও পড়ুন- বেতন বাড়ছে সাংসদদের, আয়করে ছাড় পেল না মধ্যবিত্ত
সব শোনার পর বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি আর এম বোর্দে এবং রাজেশ কেতকার রায়ে জানান, ট্যাটু কখনই আবেদনকারীর দায়িত্ব নির্বাহের প্রতিবন্ধকতা নয়। চাকরির সমস্ত শর্তই তিনি পূর্ণ করেছেন। আইএসএফ-কে তাদের নিয়মে পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে আদালত এও জানায়, যেহেতু শ্রীধরের হাতে ধর্মীয় চিহ্নের ট্যাটু রয়েছে, তাই সেটা সম্মান করা উচিত।