নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মতো ফের কি জলপথে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা! মঙ্গলবার নৌসেনা প্রধানের এক মন্তব্যের পর তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লনবা মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন নয়াদিল্লিতে ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ডায়লগে। সেখানেই তিনি জানান, সমুদ্রপথে হামলা চালাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের।


তাঁর এই মন্তব্যের পরই জলপথে জঙ্গিহানার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, এর আগে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সময় আজমল আমির কাসভ-সহ অন্য জঙ্গিরা আরবসাগর দিয়েই মুম্বই উপকূলে হামলা করেছিল।


আরও পড়ুন: শিবরাত্রিতে গ্রামের মন্দিরে পুজোপাঠ সেরে মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী


এদিন ওই ডায়লগে নৌসেনা প্রধান স্পষ্টভাবে জানান, সন্ত্রাসবাদ এখন বিশ্বের শান্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদের কারণ। সারা বিশ্ব এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁর কথায়, সন্ত্রাসবাদের সবদিক দেখে ফেলেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। কিছু দেশ এর ভুক্তোভুগী।



এদিন নাম না করে পাকিস্তানের দিকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোনও কোনও দেশের মদত দেওয়া সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর সব রূপ প্রত্যক্ষ করে ফেলেছে ভারত। ভারতে অস্থিরতা তৈরিতেই এই কাজ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: গর্ত থেকে বার করে মারব জঙ্গিদের, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। সিআরপিএফ কনভয়ে হওয়া ওই হামলায় শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে অ্যাডমিরাল লনবার কথায়। ওই ঘটনাকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।


তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক, ভারতীয় সেনা সবরকম পরিস্থিতি রুখতে সক্ষম বলে তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।


আরও পড়ুন: রাতভর গুলির লড়াইয়ে ত্রালে নিকেশ দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি


সেই ঘটনার ১২দিনের মাথায় পাল্টা হামলায় চালায় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গি মোকাবিলা বলতে সেকথাই কার্যত বোঝাতে চেয়েছেন নৌসেনা প্রধান।