রাতভর গুলির লড়াইয়ে ত্রালে নিকেশ দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি
বেশ কিছুক্ষণ গুলি চলার পর অবশেষে সিআরপিএফ-পুলিস সাফল্য পায়। দুই জঙ্গি ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে বলে খবর। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। এবার ঘটনাস্থল ওই রাজ্যের ত্রাল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই শুরু হয়েছে গুলির লড়াই।
সেখানে ২-৩ জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে এমন খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ও সিআরপিএফ। তল্লাশি অভিযানের সময়ই দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই জঙ্গিরা হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। সোমবার গভীর রাতে তাদের ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বাঁচার কোনও রাস্তা নেই বুঝতে পেরে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তখনই শুরু হয় গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন: গর্ত থেকে বার করে মারব জঙ্গিদের, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বেশ কিছুক্ষণ গুলি চলার পর অবশেষে সিআরপিএফ-পুলিস সাফল্য পায়। দুই জঙ্গি ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে বলে খবর। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। সিআরপিএফ কনভয়ে হওয়া ওই হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। আহত হন অনেকে।
Jammu & Kashmir: Encounter underway between security forces and terrorists in Tral. More details awaited. (Visuals deferred by unspecified time) pic.twitter.com/e8lu8WCivb
— ANI (@ANI) March 5, 2019
এর পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। একাধিক এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করে বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।
তার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা বেড়েছে। পাকিস্তানের তরফে বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এমনকী, যুদ্ধবিমান নিয়ে এসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক উড়ান ঘোষণার পর 'জয় হিন্দ' বলার নির্দেশ এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের
প্রতিবারই যোগ্যজবাব দিয়েছে ভারত। ভারতের একটি মিগ-২১ ভেঙে দিয়েছেন পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে। সেই অভিযানে পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়ে বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পরে অবশ্য তাঁকে ছাড়তে বাধ্য হয় পাকিস্তান।