নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে তিন পুলিসকর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল জঙ্গিরা। শুক্রবার সকালে সোপিয়ানে মোট ৪ পুলিসকর্মীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এদের মধ্যে একজন ঘরে ফিরেছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনিয়ে গত একমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ফের পুলিসকর্মীকে অপহরণের ঘটনা ঘটল। অপহৃতদের মধ্যে তিনজন জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল পুলিসের কর্মী। এদিন সকালে জোর করে তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাদের জোর করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিস।


আরও পড়ুন-বুক পকেটে রাখা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন! ধোঁয়া বেরোতে দেখেই হতভম্ব প্রৌঢ়


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বড় কিছু করতে না পেরে জঙ্গিরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আর পাথর ছেঁড়ার রাজনীতি এখন আর কোনও কাজ হচ্ছে না। এর ফলে তারা পুলিসকে নিশানা করছে।


সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে কিছু করতে না পেরে কাশ্মীরে জঙ্গিরা এখন চাপ দিচ্ছে রাজ্য পুলিসকে। তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহেই একটি ভিডিও প্রকাশ করে হিজবুল মুজাহিদিন। সেখানে রাজ্যের পুলিস কর্মীদের বলা হয় তারা যেন অনলাইনে বা লিখিত আকারে তাদের ইস্তফাপত্র জমা দেয়। সেই ভিডিও এখন উপত্যকায় ভাইরাল।


গত সপ্তাহে কুলগামে এক সেনা জওয়ানকে গুলি করে খুন করার পরই ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আনে হিজবুল। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে টেরিটোরিয়াল আর্মির ওই জওয়ান ঘরে ফিরেছিলেন। তারপরেই ওই ঘটনা।


আরও পড়ুন-প্রাক্তন ছাত্র কী করতে স্কুলে গেল? ইসলামপুরের ঘটনায় প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর 


তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কাশ্মীরে ৩ পুলিস কর্মী ও তাদের ৮ আত্মীয়কে অপহরণ করে জঙ্গিরা। বাধ্য হয়েই জঙ্গিদের শর্ত মেনে জঙ্গিদের এক ডজনেরও বেশি আত্মীয়কে ছেড়ে দেয় পুলিস। এর মধ্যে ছিল হিজবুল নেতা রিয়াজ নাইকুর বাবাও। কোনও কোনও মহলের দাবি জঙ্গিদের আত্মীয়দের ছেড়ে দেওয়ার জন্যই আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় কাশ্মীরের পুলিস সুপার এস পি বেদকে।