নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরাসকাণ্ডে পুলিসি নির্মমতার নয়া নজির। গণধর্ষণ, নারকীয় নির্যাতন, মৃত্যু। এখানেই শেষ হল না হাতরাস নির্যাতিতার করুণ পরিণতি। সত্কারেও জুটল চরম অপমান, অবহেলা। জানা গিয়েছে গতকাল দিল্লি থেকে জবরদস্তি দেহ নিয়ে যায় পুলিস। মধ্যরাতেই বাড়ির অদূরে খেতে দাহ করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। সবমিলিয়ে পরিজনহীন শেষকৃত্য দলিত তরুণীর।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখানেই শেষ নয়। জানা যাচ্ছে, সন্তানহারা পরিবারের ওপরে অকথ্য জুলুম চালানো হয়। দিল্লির হাসপাতালে ধরনাতেও হানা দেয় পুলিস। জবরদস্তি বাবা ভাইকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। মায়ের আকুতিতেও নেই হেলদোল। বাড়িতে পৌঁছলই না ধর্ষিতার দেহ। 



ফের নির্ভয়া-কাণ্ডের ছায়া যোগীরাজ্যে। হাথরাস গণধর্ষণে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। আর রাতের জুলুমে আগুনে কার্যত ঘি ঢালল যোগী পুলিস। ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভে ফুঁসছে নাগরিক সমাজ। রাজধানিতে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে। অবরোধে ভীম আর্মি। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। 


টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় দলিত পরিবারের ওই ১৯ বছরের তরুণীর। জানা গিয়েছে এরপরই হাসপাতাল থেকে দেহ হাতে পাওয়া নিয়েও পুলিসের সঙ্গে বিতণ্ডা শুরু হয় মেয়েটির পরিবারের। রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে দেহটি ছেড়ে দেওয়া হলে, তাঁদের কিছু না জানিয়েই পুলিস দেহটি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা ও দাদা।


জানা যাচ্ছে, সেখান থেকেই তাঁদের ওপর শুরু হয় জুলুম। এরপর তাঁদের সঙ্গে নিয়ে হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। বাড়িতে না পাঠিয়েই খেতে নিয়েগিয়ে জবরদস্তি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেহ।