স্বামী জানে না প্রধানমন্ত্রীর নাম, বন্দুক দেখিয়ে দেওরের সঙ্গে নববধূর বিয়ে দিল মেয়েপক্ষ
সকালে খিচড়ি অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় শিব শঙ্করের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করছিলেন তাঁর শ্যালক ও শ্যালিকারা। সেই সময় শিব শঙ্করের এক শ্যালিকা তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করেন। শিব শঙ্কর দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারেননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবার ইউপির গাজীপুরের সৈয়দপুর থানা এলাকায় একটি অদ্ভুত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেখানে বিয়ের পরের সকালে খিচড়ি অনুষ্ঠানের সময় বরকে শ্যালিকারা বিভিন্ন প্রশ্ন করে। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামও জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। বর প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে না পারলে তাকে মানসিকভাবে দুর্বল বলে অভিহিত করেন কনের স্বজনরা। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কনেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা।
প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারল না বর
সৈয়দপুর থানা এলাকার অন্তর্গত নাসিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রাম অবতার রামের ছেলে শিব শঙ্করের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ১১ জুন। করন্দা থানার অন্তর্গত বসন্ত পট্টি গ্রামের বাসিন্দা লাখেদু রামের মেয়ে রঞ্জনার সঙ্গে। ৬ মাস আগে মেয়ে পক্ষ ছেলেটিকে তিলকের প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপর থেকে ছেলে ও মেয়ে মোবাইলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে। ১১ জুন শিব শঙ্কর বিয়ের জন্য মেয়ের বাড়িতে পৌঁছান। রাতে শিব শঙ্কর সব আচার-অনুষ্ঠান করে রঞ্জনার সঙ্গে বিয়ে দেন নিজের ছেলের।
বউয়ের বোনেরা প্রশ্ন করেছিল
সকালে খিচড়ি অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় শিব শঙ্করের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করছিলেন তাঁর শ্যালক ও শ্যালিকারা। সেই সময় শিব শঙ্করের এক শ্যালিকা তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করেন।
আরও পড়ুন: Delhi: মাত্র ১০ হাজার টাকা দেনা, আদায় করতে এসে পরিবারের ২ বোনকে গুলি করে মারল পাওনাদাররা
শিব শঙ্কর দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারেননি। এটা দেখে মেয়ের স্বজনরা ছেলেটিকে অর্ধশিক্ষিত বলা শুরু করে। ছেলের বাবা রাম অবতারের অভিযোগ, মেয়ের পক্ষের লোকজন অস্ত্রের জোরে তাঁর ছোট ছেলে অনন্তের সঙ্গে রঞ্জনার বিয়ে দেয়। যদিও অনন্ত এখনও নাবালক বলে দাবি করা হয়েছে।
বরের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে
এর পরেও তাঁরা ভয়ে এই বিয়ে মেনে নিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। শনিবার হঠাৎ করে মেয়ের পক্ষের লোকজন তাঁর বাড়িতে এসে মেয়ের জামাইয়ের বিদায়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাঁরা এইকাজ করতে অস্বীকার করলে পুত্রবধূকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
এরপরেই রাম অবতার পুলিসের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে উভয় পক্ষকে সৈয়দপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।