নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জেরে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করল কেন্দ্র। এমনটাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। গতকালের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন করেনি। তবে, সে দেশের সরকার জানিয়েছে, ওই ঘটানোর পিছনে স্থানীয় উগ্র ইসলামিক সংগঠনের হাত থাকতে পারে। সন্দেহের তির যাচ্ছে ন্যাশনাল তৌহিত জামাত নামে একটি সংগঠনের। শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংসের পিছনে ওই সংগঠনের হাত ছিল বলে মনে করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শ্রীলঙ্কা সরকারের এই আশঙ্কা প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি উপকূল বাহিনীকে হাই অ্যালার্ট করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যরাত থেকে ফের কার্ফু জারির ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপলা সিরিসেনা।


গতকাল ইস্টার উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জায় প্রার্থনা জানাতে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সকাল ৮.৪০ নাগাদ কলম্বোর গির্জায় প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এর পর বেলা গড়াতে আরও পাঁচটি বিস্ফোরণ খবর মেলে। ৩টি হোটেল এবং আরও ২ গির্জায় বিস্ফোরণ হয়। সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর বেশি। বিকেলে আরও ২ টি বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে নবম বিস্ফোরণটি হওয়ার আগে কলম্বোর বিমানবন্দরের কাছে বোম নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে জানা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯০। ৫০০-র বেশি গুরুতর জখম।


আরও পড়ুন- TikTok প্রেমীদের জন্য সুখবর, কয়েকদিনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট


শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ভারতের ২ জেডিএস (জনতা দল সেকুলার) কর্মীর। কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে জানায়, জেডিএস-র ৭ কর্মীর একটি দল ঘুরতে যায় শ্রীলঙ্কায়। রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ জনের। বাকি ৫ জনের কোনও খবর নেই। সে দেশের ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়।