Demonetisation Verdict: মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল? জেনে নিন সুপ্রিম কোর্টের বহু প্রতীক্ষিত রায়...
Supreme Court on Demonetisation: বহুদিনের প্রশ্ন দেশবাসীর মনে। অনেকেই সরাসরি বলে দিয়েছিলেন নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু একটা অপেক্ষা ও সংশয় ছিলই। সকলেই আসলে জানতে আগ্রহী ছিল, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী বলছে! জানা গেল সেই রায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহুদিনের প্রশ্ন ছিল দেশবাসীর মনে। বহু মহল সরাসরি বলেই দিয়েছিল নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু একটা অপেক্ষা ও সংশয় ছিলই। সকলেই জানতে আগ্রহী ছিল, এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী বলছে! অবশেষে এ নিয়ে জানা গেল সুপ্রিম-রায়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভুল ছিল না! প্রকারান্তরে নোটবন্দিকে বৈধ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৬ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করে দেয়। সরকারের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এর বিরুদ্ধে ৫৮টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। মোটামুটি একটা সম্ভাবনা ছিলই যে, এ নিয়ে সুপ্রিম-সিদ্ধান্ত আসতে পারে সোমবার, অর্থাৎ, আজই। কার্যক্ষেত্রে সেটাই হল। বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলার রায় দিল। বিচারপতি নাজির, বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি নাগরত্ন ছাড়াও, পাঁচ বিচারপতির এই বেঞ্চে বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামাসুব্রমানিয়ানও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: 7th Pay Commission: লক্ষাধিক কর্মচারীকে নববর্ষের উপহার, ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ; আজ থেকে বাড়বে বেতন!
যারা সরকারের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁদের অভিযোগ, সরকার আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছে। পিটিশনকারী পক্ষের আইনজীবী চিদাম্বরম ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তকে 'গুরুতরভাবে ত্রুটিপূর্ণ' বলে অভিহিত করেছেন এবং আদালতে যুক্তি দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিজে আইনি দরপত্র সম্পর্কিত কোনও প্রস্তাব শুরু করতে পারে না। আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় বোর্ডের সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। চিদাম্বরম আরও বলেছিলেন যে, সরকার নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে সঠিক তথ্য দেয়নি, আরবিআইকে পাঠানো চিঠিও রেকর্ডে রাখা হয়নি। চিদাম্বরম অভিযোগ করেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত RBI আইন, ১৯৩৪-এর বিধান অনুসারে ছিল না। এই আইন অনুসারে, নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের উচিত ছিল জনগণকে এ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ঘোষণার পরেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছিল। এজন্য মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।