Ayodhya: রামমন্দির থেকে এবার চুরি হয়ে গেল আলো! অন্ধকার রামপথ-ভক্তিপথ নিয়ে দানা বাঁধছে বিতর্ক...
FIR lodged as Lights on Ayodhya Path Go Missing: অযোধ্যায় রামমন্দির মন্দির-বিতর্ক যেন থামছেই না। মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার পরে এবার আলো-বিতর্কের কলঙ্ক ছুঁল পবিত্র রামজন্মভূমিকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অযোধ্যায় রামমন্দির মন্দির-বিতর্ক যেন থামছেই না। মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার পরে এবার আলো-বিতর্কের কলঙ্ক ছুঁল পবিত্র রামজন্মভূমিকে।
আরও পড়ুন: R G Kar Incident: 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের কীর্তির শেষ নেই! এবার প্রকাশ্যে কাশীপুর...
অযোধ্যার রামপথের দু'পাশের গাছে টাঙানো ৩৮০০টি বাঁশের আলো এবং ভক্তিপথের দু'পাশে ৩৬ গোবো প্রোজেকশন আলো নেই! কোথায় হারিয়ে গেল এত আলো? এ নিয়ে পুলিসেও অভিযোগ হয়েছে। এই আলোর দাম ৫০ লাখ টাকার মতো। মন্দির-নগরে এ কি বৈপরীত্য?
৬৪০০ বাঁশের আলো রামপথে এবং ৯৬ গোবো প্রজেক্টর লাইট ভক্তিপথে টাঙানো হয়েছিল। সেই আলো রাতারাতি উবে গেল! থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এ নিয়ে থানা কিছু বলেনি।
জানা গিয়েছে, অযোধ্যা ডেভলপমেন্ট অথরিটির কাছ থেকে এই কাজের বরাত পেয়েছিল যশ এন্টারপ্রাইজ ও কৃষ্ণা অটোমোবাইলস। প্রতিনিধিস্বরূপ শেখর শর্মা বলেছেন, আলো উধাও হয়ে গিয়েছে এবং সেই অভিযোগ থানায় নথিভুক্তও করা হয়েছে ৯ অগস্ট। তিনি যে কমপ্লেইন দায়ের করেছেন, সেখানে বলেছেন, ৬৪০০ ব্যাম্বু লাইট এবং ৯৬ গোবো প্রজেক্টর আলো তিনি রামপথে ও ভক্তিপথে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যথাস্থানে দেখেছেন। তবে বিষয়টায় যে কিছু ঝামেলা হয়েছে, সেটা বোঝা যায় ৯ মে-র পরে। তখনই প্রথম দেখা যায় যে, কিছু আলো যেন মিসিং! অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তিরা এগুলি চুরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, প্রশ্ন উঠছে, যদি মে মাসেই ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে, তখনই কেন তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হল না? কেন সেজন্য অগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল?
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় ২.৭ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে রামমন্দির। ১৮০০ কোটি টাকার খরচে তৈরি এই মন্দির। এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও ইস্পাত বা লোহা। শুধু নির্মাণশৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার এই রামমন্দির। প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। এটি তৈরির পিছনে রয়েছেন দেশের নামী বিজ্ঞানীরা, আছে ইসরো-র মতো সংস্থা।
কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই ছাদ থেকে জল পড়ে রামমন্দিরে। ফুটো ছাদ এবং জলাবদ্ধ প্রাঙ্গণ উদ্বেগ তৈরি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল নির্মাণের গুণমান নিয়ে। জানা গিয়েছিল, প্রাক-বর্ষা বৃষ্টিতে অযোধ্যার পরিকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছিল। মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রামপথের তিনটি স্থান-সহ পাঁচটি বড় রাস্তা ধসে পড়েছিল। রিকাবগঞ্জ রোডের চকের কাছে এবং পুলিস লাইনের সামনে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছিল। প্রথমে অটল সেতুতে ফাটল পরে ছাদ ফেটে অঝোরে জল ঝরে পড়া। আর এবার আলোচুরি! বিতর্ক যেন ছাড়ছেই অযোধ্যার রামমন্দিরকে!