Mid day Meal: মিড ডে মিলে শুধু একটু ভাত আর তাতে সামান্য হলুদ! অবিশ্বাস্য...
Turmeric Rice in Mid Day Meal Chhattisgarh: মিড ডে মিল ভারতের বুনিয়াদি শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম অংশ। তা খুবই প্রশংসার। কিন্তু তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানা সময়ে নানা বিতর্ক, নানা সংকটও ঘনিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিড ডে মিল ভারতের বুনিয়াদি শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম অংশ। তা খুবই প্রশংসার। কিন্তু তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নানা সময়ে নানা বিতর্ক, নানা সংকটও ঘনিয়েছে। এবার সংকট ঘনাল ছত্তীসগঢ়ে। এই রাজ্যে ৫২ হাজারেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। তা সরকারি তরফে যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে তত্ত্বাবধানও করা হয়। কিন্তু তারই মধ্যে ছন্দপতন।
কী ছন্দপতন?
এক স্কুলে মিড ডে মিলে মিলল শুধুই ভাত আর তাতে একটু হলুদ! বিতর্কের আগুন প্রস্তুত ছিলই। এই ছবি তাতে যেন ঘি ফেলল। এর আগে এক জায়গায় মিড ডে মিলে মিলেছিল চাপাটি আর নুন। তা নিয়েও খুব বিতর্ক তৈরি করেছিল। তার পরই এই ভাত-হলুদ। এক ফোঁটা ডাল নেই, এক চামচ তরকারি নেই! মেনু যথারীতি লেখা রয়েছে। কিন্তু লিখিত মেনুর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই! ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে।
২০২২ সালে ছত্তীসগঢ়ে অপুষ্টির হার ছিল ১৭.৭৬ শতাংশ। এই তথ্য হাতে আসার পরে সরকারি ভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয় এবং স্কুলের মিড ডে মিলে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের কথা, বাচ্চাদের যা খাওয়ানো হবে বলে লেখা থাকছে তালিকায়, মেনু তার ধারকাছ দিয়ে যাচ্ছে না।
যে-স্কুলে এই মর্মান্তিক মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে তার খোঁজ নিয়ে যা জানা গিয়েছে, তা ততোধিক আতঙ্কের। স্কুলটি নাকি গত এক সপ্তাহ ধরে মিড ডে মিলে কোনও সবজিই পরিবেশন করছে না! অধিকাংশ দিনই শুধু ডাল ভাত থেকেছে। নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। কিন্তু কোনও কোনও দিন আবার ভাতে শুধু এক চিমটে হলুদ ফেলে কড়ায় নেড়ে দিয়ে বাচ্চাদের পরিবেশন করা হয়েছে! রায়পুরের বিজাকুরা গ্রামে বিজাকুরা প্রাইমারি স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
কেন এমন ঘটল?
আরও পড়ুন: France: মাক্রোঁর পতন! সকলকে বিস্মিত করে ছবির দেশে কবিতার দেশে কমিউনিস্টদের উত্থান...
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা বহুদিন ধরেই কোনও করি-তরকারি সবজি পাচ্ছেন না। যাঁরা স্কুলে এই সব জিনিস সরবরাহ করেন, দিচ্ছেন না তাঁরাও। কেন দিচ্ছেন না? তা-ও জানা গিয়েছে সবজি সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সবজি সরবরাহকারীরা দীর্ঘদিন টাকা পাননি, তাই তাঁরা সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কার দোষ, কে ঠিক করবে? এই পারস্পরিক দোষারোপের মধ্য়ে বঞ্চিত থাকছে কিন্তু বাচ্চারাই!