নিজস্ব প্রতিবেদন: লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন আকাশপথে হামলা হতে পারে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পাওয়ার পর আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন কাশ্মীরে নাগোরতা সেনা ক্যাম্পে হামলায় গ্রেফতার করা হয় সৈয়দ মিন্দের উল হাসানকে। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে স্বাধীনতা দিবসে হামলার ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে এনআইএ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মিস্ত্রির ছদ্মবেশে দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। লালকেল্লার আশপাশের চত্বর তাই দুর্গের চেহারা নিয়েছে। বায়ুসেনাকেও সতর্ক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানী। স্বাধীনতা দিবসে কোনরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।



স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লি মেট্রোর নিরাপত্তাতেই নিয়োগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত ৬০০ জওয়ানকে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, লালকেল্লার কাছাকাছি যানবাহনের গতিও সীমিত করা হয়েছে। এদিকে অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারতে স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছে উলফা এবং উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের  কর্ডিনেশন কমিটি। জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়েতে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। যে কোনও রকম হিংসা রুখতে  জম্মু-কাশ্মীরে সতর্কতা জারি হয়েছে।



লালকেল্লা, জামা মসজিদ, দরিয়া গঞ্জ, কাশ্মীর গেট এবং সিভিল লাইনস এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘুড়ি ওড়ানো রুখতে আলাদা করে ১০০জন নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী জুড়ে চলছে তল্লাসি। লালকেল্লাগামী সব রাস্তায় দোকানপাট সিল করে দিয়েছে দিল্লি পুলিস। চলছে নজরদারি। এছাড়া কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দিল্লির সবকটি মেট্রো স্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। অতিরিক্ত সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার সিসিটিভির ফুটেজ মনিটর করতে তৈরি হয়েছে নতুন কন্ট্রোল রুম।



শুধু দিল্লিই নয়, স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের সব রাজ্যেই নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি চোখে পড়ছে। বিশেষত, যে সব রাজ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের যোগ রয়েছে, সেখানে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আরও পড়ুন- ভারতীয় জওয়ানদের পালটা জবাবে খতম ২ পাক সেনা