নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় ফের তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অমরপুর আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। সেই সভায় যাওয়ার পথে দলের সমর্থকদের উপরে হামলা চালানো হয়। এমনটাই অভিযোগ করা হল তৃণমূলের তরফে। পাশাপাশি, সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের গাড়ি আটকে দেয় পুলিস। এমনও অভিযোগ উঠল। বাধা পেয়ে আগরতলা ফিরে গেলেন কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের অভিযোগ, অমরপুরের নতুন বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উপরে হামলা করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি। তিনজনকে মারধর করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, অমরপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সেখানকার এসডিপিও কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিকদের আটকে দেয়। এনিয়ে কুণাল ঘোষর সঙ্গে বচসাও হয় পুলিসের।


আরও পড়ুন-Petrol-Diesel price hike: জ্বালানির দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের 


এনিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। আগরতলা থেকে অনেকটা দূরে অমরপুর। সেখানেই তৃণমূলের একটি কর্মসূচি ছিল।  তার জন্য অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। সভায় আসার পথে তৃণমূল সমর্থদের উপরে হামলা চালায় বিজেপি। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে। পুলিস নীরব দর্শক ছিল। যেখানে হামলা হয়েছে তার আগেই পুলিস দিয়ে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিস বা এসডিপিও বলেওনি কেন যেতে বাধা দেওয়া হল। এখানকার প্রাক্তন মন্ত্রী তাপস দাস আটকে গিয়েছেন। 


কুণাল ঘোষ আরও বলেন, তৃণমূল কর্মীদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, বিজেপি যা করেছে করুক তারা যেন কোনও প্ররোচনায় পা না দেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে থানা ঘেরাও করেছেন। ওই জায়গায় আমাদের যাওয়ার কোনও উপায় নেই। কারণ পুলিস আমাদের আটকে দিচ্ছে। এর আগে যখনই আমরা ওখানে যেতে চেষ্টা করেছি তখনই আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। মামুন খান আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাকে এমনভাবে মেরেছে যে তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়েছে। আজ তার ডায়ালিসিস করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার দিন থেকে আজ পর্যন্ত একের পর এক হামলা হচ্ছে। একজনকেও গ্রেফতার করেনি এখানকার পুলিস।


আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: স্থায়ী সমাধানে প্ল্যান দিন, পাহাড়ের নেতাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর 


ত্রিপুরার ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দিনহাটায় আমরা প্রচার করতে পারছি না। আমাদের এক নেতাকে সেখানে হোটেলে থাকতে দেওয়া হয়নি। হোটেল মালিক বলছেন, ওই নেতাকে থাকতে দিলে হোটেল ভাঙচুর হয়ে যাবে। রাজ্য আমাদের অনেক কর্মী খুন হয়েছেন, দলের বহু সমর্থক রেশন পাচ্ছে না। আঠ হাজার কর্মী ঘরছাড়া। এই তো অবস্থা। ঠিক কী হয়েছে তা আমরা এখান থেকে বলতে পারছি না। ওখানে বিজেপি সরকার রয়েছে। সেখান থেকেই বিষয়টা জানা যাবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)