Abhishek Banerjee: এবার রাজভবন অভিযানের ডাক, দিল্লিতে ছাড়া পেলেন অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতারা
এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষি ভবনে ধরনায় বসেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়করা। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর? স্রেফ টেনে হিঁচড়ে বের করাই নয়, তিন বাসে চাপিয়ে অভিষেক, কল্যাণ, দোলাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিস।
প্রবীর চক্রবর্তী: ২ ঘণ্টা পার। অবশেষে ছাড়া পেলেন তৃণমূল নেতারা। দিল্লির উৎসব সদন পুলিস লাইন একে একে বেরিয়ে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন মহুয়া মৈত্ররা। শুধু তাই নয়, রাজধানীতে হেনস্থার প্রতিবাদে এবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিলেন অভিষেক। কবে? বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের সময়।
বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে 'মিশন দিল্লি'। এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কৃষি ভবনে ধরনায় বসেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়করা। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর? স্রেফ টেনে হিঁচড়ে বের করাই নয়, তিন বাসে চাপিয়ে অভিষেক, কল্যাণ, দোলাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিস।
রাতে ছাড়া পান তৃণমূল নেতারা। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, '২ ঘণ্টা আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ধরনায় অংশগ্রহণ করি। আজ আমাদের একটি কর্মসূচি ছিল। যন্তর-মন্তরে প্রায় সকাল ১০ টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু যেভাবে মন্ত্রী আমাদের সকালে বদলে সন্ধেবেলা সময় দেন, আমরা কর্মসূচিটা একটু পিছিয়ে দশটায় জায়গায় বারোটা শুরু করেছিলাম। জমায়েত শুরু হয় ১২টা থেকে। মিটিং শুরু করি বেলা ১টা থেকে। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত কর্মসূচি চলে'।
তারপর? অভিষেক জানান, 'যন্তর-মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল করে, বাংলা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ চিঠি আমরা নিয়ে এসেছিলাম মানুষের হাতে লেখা, যাঁদের টাকা বিজেপি আটকে রেখেছে, সেই চিঠি নিয়ে আমরা কৃষি ভবনের উদ্দেশ্যে যন্তর-মন্তর থেকে রওনা দিই। আমরা ৬টা সময়ে আজকে কৃষিভবনে এসে পৌঁছয়। আমাদের একটি কনফারেন্স হলে বসতে দেওয়া হয়'।
অভিষেকের আরও বক্তব্য, 'আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ওব্রায়েন ও লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য় তাঁর সচিবের সঙ্গে বৈঠকে করার উদ্যোগ নেয়। তাঁদের বলা হয়, উপভোক্তাদের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করবেন না। মন্ত্রী খালি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি যাঁরা আছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করবে। আমরা আর একবার অনুরোধ করতে পাঠাই। আপনারা যদি ৮ জনের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে কমপক্ষে ৪ জন বিশেষ করে সন্তানহারা পিতারা যাঁরা, তাঁদের কথা আপনাকে শুনতে হবে। পালিয়ে যেতে পারেন না। যতক্ষণে আমাদের সাংসদরা সেটা মন্ত্রীকে বলতে যায়, মন্ত্রী পালিয়ে যায়'।
আরও পড়ুন: ওষুধের অভাবে ৪৮ ঘণ্টায় ৩১ রোগীর মৃত্য়ু সরকারি হাসপাতালে! অভিযোগ ওড়াল কর্তৃপক্ষ
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)