নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে বাবুল সুপ্রিয়র মানভঞ্জনে তৎপর বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সূত্রের খবর, সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টার সময় হতে চলেছে সেই বৈঠক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর থেকেই বাবুলের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়তে থাকার গুঞ্জন শোনা যায় দিল্লির রাজনীতিতে। এরপর গত সপ্তাহে লম্বা ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন আসানসোলের সাংসদ। পার্লামেন্টের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও জানান।  'চললাম, অলবিদা', বাবুলের এই ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে  শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। সমস্ত কিছু নিয়েই ফেসবুকে নিজের হতাশা গোপনও করেননি বাবুল সুপ্রিয়। এ দিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রিত্ব হারানোর উল্লেখও রয়েছে। তিনি লিখেছেন,'মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সাথে তার কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ আছে - কিছুটা তো নিশ্চয় আছে ! তঞ্চকতা করতে চাই না।'  


আরও পড়ুন: Covid vaccination: দেশে প্রথম, ১০০ শতাংশ টিকাকরণ ভুবনেশ্বরে


আরও পড়ুন: Corona Update in India: স্বস্তি বাড়িয়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুর হারও কম


আসানসোলের সাংসদের এই লম্বা ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তরজাও কম হয়নি। তাঁকে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ইস্তফা দেওয়া নিয়ে 'নাটক' করছেন বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেন তৃণমূল নেতা। আরও বলেন, 'শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মত'। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। দু'জনকেই পাল্টা দেন বাবুল। তাঁদের 'মন্তব্য'র স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে ফেসবুকে বাবুল লেখেন, "পড়লাম আপনাদের কমেন্টগুলি | যে যার নিজের মতো করে দেখেছেন, বুঝেছেন, সমর্থন করেছেন, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, প্রশ্ন করেছেন, কৈফিয়ত চেয়েছেন, কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী 'ভাষার' ব্যবহার করেছেন - সবটাই শিরধার্য্য | কিন্তু আপনাদের প্রশ্নের জবাব আমি কাজেও তো দিতে পারি | তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কি দরকার।" এরপরই বাবুলের কটাক্ষ, স্ক্রিনশটের প্রথম উক্তিটির 'সৌজন্য' শ্রী কুণাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ.." ।