নিজস্ব প্রতিবেদেন— দেশের সেরা দশজন বিজ্ঞানী দিন—রাত এক করে ফেলছেন। করোনার টিকা আবিষ্কারে কি ভারতই পথ দেখাবে! ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমুউনোলজি (NII)—র দাবি তেমনই। মারণ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ইতিমধ্যে গোটা দেশ লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র লকডাউন করলেই এই ভাইরাস রোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা আবিষ্কার করতে পারলেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে লাখ লাখ মানুষ। আর সেই জীবনদায়ি টিকা আবিষ্কারের কাজে নেমেছেন সেরা দশজন বিজ্ঞানী। COVID-19 টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কিছুদিনের মধ্যেই আশার আলো দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন NII ডিরেক্টর ডাক্তার অমূল্য কে পান্ডা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমূল্যবাবু বলেছেন, আমার কেরিয়ারের সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ এটা। করোনার টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে বহু মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও সেরে উঠেছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখব, তাঁদের অ্যান্টিবডি কীভাবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। করোনাভাইরাসের প্রকার নিয়েও আমরা গবেষণা শুরু করেছি। এখনই এই নিয়ে সব কিছু খোলসা করা যাবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, দেশের সেরা দশজন বিজ্ঞানী দিন—রাত এক করে কাজ করছেন। আমরা শীঘ্রই ভাল কিছুর সন্ধান পাব।


আরে পড়ুন— তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানে ভিসা বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন ৮০০ বিদেশি নাগরিক


ডাক্তার পান্ডার টিম এর আগে ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারের কাজ করেছেন। সেই রিসার্চ—এর কাজ এখন চেন্নাইতে শেষ পর্যায় রয়েছে। এছাড়া লোপ্রেসি ও টিবির টিকা আবিষ্কারের কাজও শেষ করেছে এই টিম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে কাজ করে এনআইআই। করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে একটি সমস্যার কথা জানিয়েছেন ডাক্তার পান্ডা। তিনি বলেছেন, করোনা খুব দ্রুত ধরণ বদলাচ্ছে। অন্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। বেশিরভাগ ভাইরাস সাধারণত গঠন ও বৈশিষ্ট্য স্থির হয়। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে সেটা নয়। টিকা আবিষ্কারের তিনটি ধাপ থাকে। প্রথমে টিকা প্রয়োগ করা হয় ইঁদুরের পর। তার পর খরগোশ। শেষ ধাপে বাঁদরের উপর প্রয়োগ করে দেখা হয়।