নিজস্ব প্রতিবেদন: তাত্ক্ষণিক তিন তালাক প্রথা বিলোপ  নিয়ে প্রবল জলঘোলা হয়েছিল গত বছর। তার প্রায় এক বছর পর তা নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার 'ট্রিপল তালাক-বিগ রিফর্ম, বেটার রেজাল্ট' শীর্ষক এক নিবন্ধ নকভি মন্তব্য করেছেন, তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে এক বছর হল। দেখা যাচ্ছে দেশে তিন তালাক দেওয়ার সংখ্যা ৮২ শতাংশ কমে গিয়েছে। ওই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১ অগাস্ট দেশের মুসিলম মহিলারা তিন তালাকের মতো এক সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এটি মুসলিম মেয়েদের অধিকার রক্ষার দিন।


আরও পড়ুন-'প্রাইভেট রুম' উপহার দেবে ফেসবুক, এবার বন্ধুর সঙ্গে যতখুশি আড্ডা মারুন


নকভি লিখেছেন, তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদাত অ-ইসলামি ও আইন বিরুদ্ধ। তার পরেও এই ধরনের প্রথাকে তোল্লাই দেওয়া হচ্ছিল ভোটের লোভে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নাম করে তিন তালাক বিলের বিরোধিতা হওয়া সত্ত্বেও গত ১ অগাস্ট তিন তালাক বিল আইনে পরিণত হয়েছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কংগ্রেস, সিপিএম, সপা, বসপা ও টিএমসি ওই বিলের বিরোধিতা করেছিল।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও লিখেছেন, দেশ চলে সংবিধানের ওপরে ভর করে। কোনও ধর্মীয় গ্রন্থ বা শরিয়তের ওপরে নির্ভর করে নয়।  এর আগেও দেশে সতী প্রথা ও বাল্য বিবাহের মতো বহু সামাজিক প্রথা বিলোপের জন্য আইন আনা হয়েছিল। তিন তালাকের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি বন্ধ করা হয়েছে একমাত্র অমানবিক একটি সামাজিক প্রথা বন্ধ করার জন্য। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে চিঠি দিয়ে, ফোন করে এমনকি হোয়াট্সঅ্যাপে মেসেজ করে তালাক দেওয়া হয়েছে। এরকম জিনিস সরকার চলতে দিতে পারে না।


আরও পড়ুন-লকডাউনেও খোলা পেট্রোল পাম্প, যদিও বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সংগঠনের


উল্লেখ্য, তিন তালাক প্রধা বিলোপের সময় সরকারের তরফে যুক্তি ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের তালাকের প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সেই উদাহরণ টেনে নকভি লিখেছেন, ১৯২৯ সালে মিশরে ও সুদানে, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে, ১৯৫৯ সালে ইরাকে, ১৯৫৩ সালে সিরিয়ায়, ১৯৬৯ সালে মালয়েশিয়ায় তিন তালাক প্রথা বিলোপ করা হয়েছে। আর ভারতে এই ধরনের একটি প্রথা বন্ধ করতে ৭০ বছর সময় লাগল। মোদী সরকারের এই আইনের ফলে দেশের মুসলিম মহিলাদের সামাজিক, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা পেয়েছে।