Winter Session: দুর্বব্যবহারের জের, শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড দোলা-শান্তা-সহ ১২ বিরোধী সাংসদ
রয়েছেন কংগ্রেসে ৬, শিবসেনার ২, একজন সিপিআই ও একজন সিপিএম সাংসদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাদল অধিবেশনে গোলমালের শাস্তি শীত অধিবেশনেও!
রাজ্যসভায় গত বাদল অধিবেশনে 'দুর্বব্যবহার'-র অভিযোগে চলতি শীত অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল ১২ সাংসদকে। ওইসব সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসে ৬, শিবসেনার ২, একজন সিপিআই ও একজন সিপিএম সাংসদ।
রাজ্যসভার ইতিহাসে প্রায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য ওই ১২ সাংসদকে শীত অধিবেশনের বাকী অংশ থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে অর্থাত্ ১১ অগাস্ট রাজ্যসভার ভেতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সেই বিক্ষোভ থামাতে এলে সংসদের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বিরোধী সাংসদদের ধস্তধস্তি হয়। তাতে নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারপরই এই শাস্তি।
বাদল অধিবেশের ওই ঘটনার সময় সংসদে ছিলেন অর্পিতা ঘোষও। তবে তিনি আর সাংসদ না থাকায় শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর উপরেই। এছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন এলামারাম করিম(সিপিএম), ফুলো দেবী নেতাম(কংগ্রেস), ছায়া ভার্মা(কংগ্রেস), রিপুন বরা(কংগ্রেস), বিনয় বিশ্বম(সিপিআই), রাজামনি প্যাটেল(কংগ্রেস), সৈয়দ নাসির হুসেন(কংগ্রেস), প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী(শিবসেনা), অনিল দেশাই(শিবসেনা), অখিলেশ প্রসাদ সিং(কংগ্রেস)।
আরও পড়ুন-BJP Candidate List: পুরভোটে BJP-র পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা, ১৪৪ ওয়ার্ডে আস্থা তরুণ ও মহিলাদের উপর
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে পেগাসাস, কৃষি বিল সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। অধিবশনের শেষ দিন অর্থাত্ ১১ অগাস্ট তোলপাড় হয় রাজ্যসভা। সরকারের অভিযোগ, সেই সময় সংসদের কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে নিগ্রহ করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় সংসদের কাচের দরজা। অনেকে টেবিলের উপরে উঠে পড়েন, কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। গোটা ঘটনা সংসদের গরিমা নষ্ট করেছে বলে মনে করছে সরকার। তার জেরেই এই শাস্তি।
জুলাই মাসে বাদল অধিবেশনের শুরুতে মূলত পেগাসাস ইস্যুতেই উত্তাল ছিল সংসদ। এর জেরে রাজ্যসভায় তৃণমূলের শান্তনু সেন সহ একাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সেই সময় সাসপেন্ডের কোপে পড়েন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী ও অর্পিতা ঘোষ। তবে রাজ্যসভার তরপে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ১১ অগাস্ট রাজ্যসভায় যা ঘটেছে তা বেনজির দুর্বব্যবহার।