নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখে লাগাতার শান্তির বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাদের পদক্ষেপ সম্পূর্ণ উল্টো হচ্ছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বায়ুসেনার পাইলটকে 'পণবন্দি'র চেষ্টা করলে ভুল করবে পাকিস্তান, কড়া বার্তা ভারতের


বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। মর্টার হামলা হয়। গোলাবর্ষণও হয়। কিন্তু ভারতের জবাবে তখন রণেভঙ্গ দিয়েছিল পাকিস্তান।


কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সেক্টর দিয়েই দুটি যুদ্ধবিমানে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে ভারত। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও ভারতীয় বায়ুসেনা ওই দুটি যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে। তখন পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান দুটি পালিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: পাক হেফাজতে থাকা বায়ুসেনা পাইলটকে কীভাবে ফেরত পাবে ভারত? কী বলছে জেনেভা কনভেনশন?


এর আগে বুধবার সকালে পাকিস্তানের তিনটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। সেই যুদ্ধবিমানগুলিকে তাড়া করে ৬টি মিগ-২১। আর তার জেরেই পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলি পালিয়ে যায়।


কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে একটি মিগ-২১ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বায়ুসেনার একজন পাইলট পাকিস্তানের হাতে আটক হয়। পাকিস্তানের উপর ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয়। তার জেরে ইমরান খান ঘোষণা করতে বাধ্য হন যে ছেড়ে দেবেন ওই উইং কমান্ডারকে।


আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই জেতার বার্তা মোদীর


প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই ঘটনায় শহিদ ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের জন্য বদলার আগুনে ফুঁসতে থাকে আসমুদ্র-হিমাচল।


পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দেয় ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়া কৌশল নির্ধারণে তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী


তার পর থেকে পাকিস্তান মুখে শান্তির বার্তা দিলেও কাজে অন্য কিছু করছিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবারও ইমরান খান শান্তির বার্তা হিসেবে ওই উইং কমান্ডারকে ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে কি না, সেটাই এখন দেখার।