মহারাষ্ট্রে আজ ফাঁকা মাঠে শক্তিপ্রদশর্ন সেনা-কংগ্রেস-এনসিপির
এই মুহূর্তে ৩ দলের হাতে বিধায়ক রয়েছে ১৫৪। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দরকার ১৪৫। সূত্রে খবর, নির্দল বিধায়কদের সমর্থন মিলতে পারে তাদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগেই রণে ভঙ্গ দিয়েছে বিজেপি। শনিবার, দুপুর ২টো নাগাদ আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চলেছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট। গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। এর সঙ্গে তিন দলের ২ জন করে বিধায়কও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
এই মুহূর্তে ৩ দলের হাতে বিধায়ক রয়েছে ১৫৪। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দরকার ১৪৫। সূত্রে খবর, নির্দল বিধায়কদের সমর্থন মিলতে পারে তাদের। কং-সেনা-এনসিপি জোট প্রায় ১৬৫ বিধায়ক নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে পারে বিধানসভায়। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। ‘প্রাক্তন’ শরিক শিবসেনার ৫৬ বিধায়ক নিয়ে অনায়াসে সরকার গড়তে পারতো। মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিরোধ বাধায় এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে চলে শিবসেনার বিস্তর আলোচনা। তারমধ্যেই রাতারাতি এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ারের হাত ধরে সরকার গড়ে বিজেপি।
রাজ্যপাল এবং দেবেন্দ্র ফডণবীসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে পরেই ডেপুট পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারার আশঙ্কা করেই আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফডণবীসও।