নিজস্ব প্রতিবেদন: সঠিক সময়ে সাইক্লোন ফণির গতিবিধি ধরতে পারায় কমানো গিয়েছে প্রাণহানির সংখ্যা। ঘণ্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ওড়িশার উপকূলে। ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো না গেলেও ‘এক্সট্রিমলি সেভার সাইক্লোন’ ফণিতে তুলনামূলক মৃত্যুর সংখ্যা কমানো গিয়েছে। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর থেকে স্থানীয় প্রশাসন। সেই প্রশংসাই শোনা গেল খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাষ্ট্রসঙ্ঘ সেক্রিটারি জেনারেলের ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশনের প্রধান মামি মিজুতোরি বলেন, “ফণির গতিবিধির সুনির্দিষ্ট আগাম পূর্বাভাস করায় প্রাণহানি কমানো গিয়েছে।” আবহাওয়া দফতর, স্থানীয় প্রশাসনের তত্পরতার প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ঝড়ের পূর্বাভাস মিলতেই কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ওড়িশার উপকূলে প্রায় ২.৮০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। ৪ হাজার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে আনার পাশাপাশি, স্কুল, কলেজ, অফিস-ও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন- জিতনের ‘মাসুদ সাহেব’ মন্তব্যে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা বিজেপির


যদিও, গতকালের দিনভর ফণির তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী পুরীতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩ জনের। এদের মধ্যে রয়েছে ১ কিশোর। পাশাপাশি ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ভুবনেশ্বরে। নয়াগড় ও কেন্দ্রপাড়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। গত ২০ বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ছিল ফণি। ১৯৯৯ সালে সাইক্লোনে ওড়িশা মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের।