জিতনের ‘মাসুদ সাহেব’ মন্তব্যে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা বিজেপির

শুধু এক বার নয় এর পরও পুনরায় মাসুদকে সাহেব বলে সম্বোধন করেন তিনি। তাঁর কথায়, “কান্দাহারে বিমান অপহণে মাসুদ আজহারসাহেবকে বাজপেয়ী সরকার ফেরাতে পারলে খেলা শেষ হয়ে যেত।”

Updated By: May 4, 2019, 11:59 AM IST
জিতনের ‘মাসুদ সাহেব’ মন্তব্যে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা বিজেপির
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহারকে ‘জি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এরপরই যারপরনাই বিতর্ক তৈরি হয় দেশজুড়ে। এ বার  মহাজোটেরই শরিক হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার সুপ্রিমো জিতন রাম মাঁঝি জইশ প্রধানকে ‘সাহেব’ সম্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন। পরে অবশ্য নিজেকে শুধরে জিতন রামের সাফাই ছিল, মুখ ফসকে ‘সাহেব’ শব্দ বেরিয়ে গিয়েছিল।

মাসুদ আজহার প্রসঙ্গে মোদী সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য দাবি করা নিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সমালোচনা করেন এইএএম সভাপতি জিতন রাম। তিনি বলেন, “যে কোনও বিষয়ে মোদী ব্যান্ডিং করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তা ঠিক নয়। মনমোহন সিংয়ের আমল থেকে মাসুদ সাহেবকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। কাকতালীয়ভাবে মোদীর জমানায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোদীর কৃতিত্ব বলে বিজেপি যে প্রচার চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।” বিহারের বিজেপি নেতা মঙ্গল পাণ্ডে পাল্টা টুইটে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “জিতন রামের ‘মাসুদ সাহেব’ মন্ত্যবে ফের প্রমাণ করল কংগ্রেস এবং তার শরিক দলের সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব রয়েছে। দেশের মানুষকে যারা হত্যা করছে, তাদের গৌরবান্বিত করাটাই কি রাজনৈতিক এজেন্ডা?”

আরও পড়ুন- ‘‘সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েছি মোদীজির কাছে নয়, ‘চৌকিদার চোর’-ই কংগ্রেসের স্লোগান’

শুধু এক বার নয় এর পরও পুনরায় মাসুদকে সাহেব বলে সম্বোধন করেন তিনি। তাঁর কথায়, “কান্দাহারে বিমান অপহণে মাসুদ আজহারসাহেবকে বাজপেয়ী সরকার ফেরাতে পারলে খেলা শেষ হয়ে যেত।” উল্লেখ্য, গত বুধবার মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ শুধরে চিন তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করার পরই মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়।

 উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার পর পাক মদত পুষ্ট জঙ্গি আজহার মাসুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয় দিল্লি। ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকারও সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হয় ভারত। কিন্তু বাধ সাধে চিন। ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে ভিটো প্রয়োগ করে বেজিং। সন্ত্রাসবাদ ইস্যু নিয়ে চিনকে রাজি করাতে কোনও কার্পণ্য রাখেনি দিল্লি।  

.