নাবালিকা ধর্ষণে কড়া শাস্তি, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করল মোদী সরকার
পকসো আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষণে আইন আরও কড়া করল মোদী সরকার। বিদেশ থেকে ফিরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকেই পকসো-সহ একাধিক আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিশু ধর্ষণে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের সাজায় অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), প্রমাণ আইন (Evidence Act), ফৌজদারি প্রক্রিয়া (CrPC) ও Protection of Children from Sexual Offences বা পকসো আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, কঠিন শাস্তির সঙ্গে দ্রুত বিচারও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
-১২ বছর পর্যন্ত শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, ন্যূনতম সাজা মৃত্যুদণ্ড
-১৬ বছরের নীচে নাবালিকা ধর্ষণে সাজা ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ করা হয়েছে।
সহজে জামিন নয়
-১৬ বছরের নীচে নাবালিকা ধর্ষণে আগাম জামিন পাবেন না অভিযুক্তরা
- ১৬ বছরের নীচে নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত আবেদন খতিয়ে দেখার ১৫ দিন আগে সরকারি আইনজীবী ও নির্যাতিতার পরিবারকে জানাবে আদালত।
দ্রুত বিচার
-প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাইকোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত খোলা হবে।
-এই ধরনের মামলায় সরকারি আইনজীবীর পদ ও সেই সংক্রান্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
-ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত পূর্ণকালীন তদন্তকারী নিয়োগ
-প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ ফরেনসিক পরীক্ষাগার খোলা
-আগামী তিন মাসের মধ্যেই নতুন প্রকল্পের সূচনা
জাতীয় তথ্য সংক্ষরণ
-নারীঘটিত অপরাধের দোষীদের তথ্য সংগ্রহ করবে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড।
-নিয়মিত এই তথ্যগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যগুলিকে জানাবে তারা।
নির্যাতিতাকে সহযোগিতা
বর্তমানে ওয়ান স্টপ সেন্টার দেশের প্রতিটি জেলায় খোলা হবে।
অর্ডিন্যান্সটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। আইন মন্ত্রক সূত্রে খবর, অর্ডিন্যান্স ছাড়া অন্য রাস্তা ছিল না। বিল পাশ করানোর জন্য বাদল অধিবেশন (জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত।
আরও পড়ুন- হারের আশঙ্কায় দুটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন সিদ্দারামাইয়া