জ্যোর্তিময় কর্মকার: দেশে সন্ত্রাস রুখতে 'আপোসহীন' মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা, '২০২৪ সালের মধ্যে সব রাজ্যে NIA-র শাখা খোলা হবে। যেকোনও জায়গায় গিয়ে তদন্ত করতে পারবে NIA-র আধিকারিকরা'।  শুধু তাই নয়,  অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দিলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'ভিশন ২০৪৭'। দেশের সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক শুরু হল হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে। পোশাকি নাম, চিন্তন শিবির। উৎসবের কারণে এই বৈঠকে নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিয়ানার স্বরাষ্টমন্ত্রীদের বৈঠকে এডিজি (হোমগার্ড)-কে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন উদ্বোধনী ভাষণেই NIA নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামিকাল, শুক্রবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।


কী ঘোষণা করলেন শাহ? তিনি বলেন, '২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত রাজ্যে  NIA-র শাখা খুলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নেটওয়ার্ক তৈরির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি রূপায়ণে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। UAPA আইনও বদলে ফেলা হয়েছে। NIA চাইলে এখন যেকোনও ব্যক্তি বা সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মাধ্যমে যদি কেউ সম্পত্তির মালিক হন, তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকারও দেওয়া হয়েছে'। সঙ্গে যোগ করেন, 'NIA-কে কোনও এলাকায় তদন্তে সীমাবব্ধ রাখা হচ্ছে না, বরং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে Extraterritorial Rights দেওয়া হয়েছে'। 


আরও পড়ুন: Tata to built Aircraft: ভারতীয় সেনার জন্য এবার বিমান তৈরি করবে টাটা


এর আগে, সন্ত্রাস মোকাবিলায় পাকিস্তান লাগোয়া ৩ রাজ্যে বিএসএফের এক্রিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, ১৫ কিমি নয়, সীমান্তের ভিতরে ৩০ কিমি পর্যন্ত  তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত, এমনকী গ্রেফতারও করতে পারবেন সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, প্রস্তাবও পাস হয়েছিল বিধানসভায়।


এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত জানাবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিতে অপব্যবহার করে পিছন থেকে রাজ্যগুলিতে বিশেষ করে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে কীভাবে নাক গলানো যায়, সেই চেষ্টা করছে। কেন্দ্রের হাতে থাকা সংস্থাগুলিতে অপব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে'। তাঁর অভিযোগ, 'কেন্দ্র নীতিগতভাবে যে পথে এগোচ্ছে, সেটা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)