নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে প্রায় সব বিরোধী দলই। তবুও, রাজীব কুমারকে ‘আড়াল’ করা এবং সিবিআইকে হেনস্থা করা নিয়ে তোপ দাগতে ক্ষান্ত হননি বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থেকে ধর্মেন্দ্র প্রধান এ দিন মমতাকে তাক করে তুলোধনা করেন সবাই। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এর আগে সারদা কাণ্ডে অনেক নেতারাই গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু রাজীব কুমারের বেলায় এত সক্রিয় কেন মমতা? রাজীবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সিক্রেট কিপার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রাজীব কাণ্ডে শুনানি আগামিকাল, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠন হল ৩ সদস্যের বেঞ্চ


রাজনৈতিক মঞ্চে কীভাবে পুলিস কমিশনার উপস্থিত থাকেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর। উল্লেখ্য, সারদাকাণ্ডে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল কলকাতা পুলিস কমিশনারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এরপরই কলকাতা পুলিসের বাধার মুখে পড়েন সিবিআই কর্তারা। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ ওঠে, সিবিআই কর্তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিস কমিশনারের বাড়িতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেই ধরনা বসার সিদ্ধান্ত নেন। ওই মঞ্চে নগরপাল রাজীব কুমার-সহ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ অন্যান্য পুলিস কর্তারা।


আরও পড়ুন- ‘বিজেপির একমাত্র বুকের পাটা রয়েছে নিতিন গডকড়ির’ বললেন রাহুল


এ দিন রবিশঙ্কর বলেন, রাজীব কুমারকে ৩ বার তলব করে সিবিআই। ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে একবারও দেখা করেননি তিনি। ২০১৩ সালে সারদা কাণ্ডের পর যে স্পেশ্যাল তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়, তার চেয়ারম্যান ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ তোলেন রবিশঙ্কর। এ দিন কংগ্রেসকেও এক হাত নেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, ২০১৪ সালে রাহুল গান্ধী টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে লেখেন, ২০ লক্ষ মানুষের টাকা আত্মসাত্ হয়েছে চিটফান্ড দুর্নীতিতে। আজ তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে সিবিআইয়ের সমালোচনা করছেন। রবিশঙ্কর আরও বলেন, মোদী ক্ষমতায় আসার আগেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সারদা অর্থলগ্নি দুর্নীতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেই মামলা করেছিল কংগ্রেস।