নিজস্ব প্রতিবেদন: নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র অনুযায়ী, পরিবারের নিরাপত্তা এবং বিচারের দাবিতে প্রধান বিচারপতি গগৈকে চিঠি লেখেন তিনি। নির্যাতিতা জানান, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা। না তুললে পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিবার ও নিজের নিরাপত্তার দাবিতে চিঠি লেখেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রবিবার গাড়ি দুর্ঘটনায় নির্যাতিতার সদস্যদের মৃত্যুর পর নয়া মোড় নেয় এই ঘটনার। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে জেলে বসেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। কুলদীপ ও তাঁর ভাই মনোজ-সহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, এ দিন রায়বরেলীতে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নির্যাতিতার গাড়িতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার দুই কাকিমার। অন্য একটি মামলায় জেল বন্দি কাকাকে দেখতে গিয়েই দুর্ঘটনার মুখে পড়েন ওই নির্যাতিতা। অভিযোগ ওঠে, কুলদীপের ইশারায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নির্যাতিতার কাকার অভিযোগ, জেলে বসেই অভিযুক্ত সব খবর পাচ্ছে। নির্যাতিতার নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁর গতিবিধির খবর সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী ছিল না বলে প্রশ্ন ওঠে। যদিও পুলিসের দাবি, নির্যাতিতার সঙ্গে ৭ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবারেও ৩ নিরাপত্তা রক্ষী ছিল বলে দাবি।


আরও পড়ুন- আয়কর আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিখোঁজ সিসিডি কর্ণধারের চিঠিতে!


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিজের বাড়িতে ১৫ বছরে ওই নাবালিকাকে কুলদীপ সেনগার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।  নির্যাতিতার পরিবার জানায়, পুলিসে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। উলটে নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে নির্যাতিতা ও তাঁর মা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।


কাকতালীয়ভাবে, সে সময়ই জেলেতে নির্যাতিতার বাবার সন্দেহজনকভাবে মৃত্যু হয়। বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই নির্যাতিতার বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।