জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনকাউন্টারে নিহত 'গ্যাংস্টার' আতিক ও তার ভাই। সেই ঘটনায় ১৭ জন পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ১৭ পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওদিকে এনকাউন্টারে গ্যাংস্টার ও তার ভাই খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনকাউন্টারের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিসকে প্রতি ২ ঘণ্টায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগীর নির্দেশে প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপি। ওদিকে আজ সারাদিনের সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের সব জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। কোথাও ভিড় বা জমায়েত করা নিষিদ্ধ। প্রয়াগরাজে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই ঘটনায় যাতে কোনওভাবেই উত্তেজনা, হিংসা ছড়াতে না পারে, সেই কারণেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। 


এর পাশাপাশি, প্রয়াগরাজে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির অফিসের  বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস। সেইসঙ্গে আসাদের এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তোলা নেতাদের উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এনকাউন্টারের ঘটনায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর আর্জি জানিয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় পুলিসের ঘোরাটোপের মধ্যেই গুলিতে খুন হয় উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার ও নেতা আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফ। মিডিয়া ও পুলিসের সামনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুজনের দেহ। সংবাদমাধ্য়মের সামনেই ঘটে ওই ভয়ংকর ঘটনা। উল্লেখ্য, একদিন আগে আতিকের ছেলেকেও এনকাউন্টারে মারে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।


শনিবার প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে ২ জনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মেডিক্য়াল টেস্টের জন্য। সাংবাদিকরা তাদের দুজনকে একের পর এক প্রশ্নও করছিলেন। আতিক তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন। হাত বাঁধা অবস্থায় তাদের দুজনকে নিয়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। সেই সময়ই সবার চোখের সামনে ঘটে যায় এনকাউন্টার। আতিকের বাঁ দিকে থেকে একজন তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। অন্যদিকে, আতিকের ভাই আসরফকে অন্য কেউ একজন গুলি করে। 


আতিকের উপরে গুলি চালানোর পরই পর পর গুলির আওয়ার শোনা যায়। গুলিবিদ্ধ না হলেও একজন পুলিসকর্মী আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তার পর আতিক ও আশরফ, ২ জনকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে থাকে ৩ জন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় এনকাউন্টার। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যায় পুলিসও। এনকাউন্টারের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছ পুলিস। পুলিসের ঘেরাটোপে এমন একজন হাই প্রোফাইল গ্যাংস্টারকে কীভাবে গুলি করতে পারল আততায়ীরা, স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল মার্ডার কেসের আসামী আতিক আহমেদ। ফেব্রুয়ারি মাসে উমেশ পাল মার্ডের কেসের চার্জও ছিল তার মাথার উপরে। 


আরও পড়ুন, Umesh Pal Murder Case: এনকাউন্টারে মারা গেল উত্তর প্রদেশ-ত্রাস আতিকের ছেলে আসাদ; কী ভাবে ঘটল?



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)