নিজস্ব প্রতিবেদন: জইশের মাসুদ, লস্করের হাফিজ় ও লাকভি এবং ১৯৯৩ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ইউএপিএ সংশোধনী আইনে জঙ্গি ঘোষণা করে ভারত। এই পদক্ষেপে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার কার্যনির্বাহী সহ-সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস জানান, ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা। কুখ্যাত ওই চার জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত এবং আমেরিকা যৌথ লড়াই আরও প্রশস্ত হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে মৌলানা মাসুদ আজ়হার, হাফিজ় সইদ, জ়াকির-উর-রহমান লাকভি এবং দাউদ ইব্রাহিমকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মাস খানেক আগে ইউএপিএ আইন সংশোধন করে মোদী সরকার। ওই আইনে এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যেতে পারত। কিন্তু নয়া আইনে কোনও ব্যক্তিকেও জঙ্গি ঘোষণা করা যেতে পারে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বিরোধীরা। সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এ ধরনের পদক্ষেপ করতে রাজনীতির উর্দ্ধে লড়াই করা প্রয়োজন।



ইউএপিএ নয়া সংশোধনী আইনে এই প্রথম চার জনকে জঙ্গি তকমা করা হল। জানা যাচ্ছে এখনও অনেকের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে, যা শীঘ্রই প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচনে অবাধে ভোট দিতে। সংসদ ও পুলওয়ামা হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। সূত্রে খবর, কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং লাকভিও পাকিস্তানেই ঘাঁটি করে আছে।


ওই চার জঙ্গিকে ভারত নিষিদ্ধ করায় কূটনৈতিক ভাবে আরও জোরে ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষাধিকার বাতিল করায় ভারতেকে তুলোধোনা করতে উঠে পড়ে লাগে ইসলামাবাদ। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে সে ভাবে আমল পায়নি। এমনকি ইমরানের অনুরোধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়া ও ব্রিটেন পাকিস্তানের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে। আজ সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতেকে আমেরিকা প্রশংসা করায়, আরও বিপাকে পড়ল পাকিস্তান। এমনটাই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।