ওয়েব ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশই চাবি। সেই চাবি এখন মোদীর পকেটে। এরপর খুলে যাবে একের পর এক বন্ধ দরজা। বহু ফেলে রাখা কাজ সেরে ফেলবেন মোদী। বলছেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছবিটা প্রতীকী। আবার বাস্তবও বটে। দেশজুড়ে BJP-র এমন উত্থান আগে হয়নি। অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছেন মোদী। BJP-র মার্গদর্শক কমিটি আবার ফিরে যাচ্ছে স্মৃতি চারণে। সাবেক জনতা দল ভেঙে বেরিয়ে বিজেপি নামক এক চারাগাছ পুঁতেছিলেন আডবাণী ও বাজপেয়ী। মোদীর হাত ধরে সেই চারাগাছই এখন মহীরূহ।  


আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে সপা-র এই হারের নেপথ্যে কী?

কয়েকমাস আগেও ছবিটা এমন ছিল না। বিহারে গোহারা হারে বিজেপি। তারপর সংসদে বারবার মোদী সরকারকে চেপে ধরে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির। ফলে যে সমস্যাগুলি ভোগ করতে হয়েছে কেন্দ্রকে-


১) রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবকেই বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে বিরোধীরা


২) একাধিকবার অর্ডিন্যান্স জারি করেও জমি অধিগ্রহণ সংশোধনী বিল পাস করাতে পারেনি মোদী সরকার


৩) রাজ্যসভায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় একাধিক বিলও সংসদে পেশ করতে দ্বিধা করে বিজেপি

৪) বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা লাগাতার সংসদ অচল রাখায় পাশ করানো যায়নি বহু জরুরি বিল  

উত্তরপ্রদেশে ফল তাই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের কাছেও অক্সিজেন। কারণ এই ফলের জোরেই রাজ্যসভার অঙ্কও বদলে যাবে। রাজ্যসভায় কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পরেও কংগ্রেসের সঙ্গে ব্যবধান ছিল যথেষ্টই। গত নির্বাচনে সেই ব্যবধান অনেকটাই কমিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় সাংসদ রয়েছেন ৩১ জন। তার মধ্যে মাত্র ৩ জন BJP-র সংসদ। উত্তরপ্রদেশে জেতায় রাজ্যসভায় শক্তি অনেকটাই বাড়াবে BJP।


জুলাইয়েই GST কার্যকর করার টার্গেট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেই পথ মসৃন হল। বিজেপি নিশ্চিত,দুহাজার উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও ফেভারিট হিসেবে নামবে তারাই।