নিজস্ব প্রতিবেদন: হিমবাহ ভেঙে ভয়ঙ্কর বন্যায় তছনছ উত্তরাখণ্ডের চামোলি। মোট ১৭০ জনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছএ ১০ জনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরএফ(NDRF), সেনা, আধসেনা, আইটিবিপি(ITBP)। দিল্লি থেকেও সাহায্য পৌঁছেছে উত্তরাখণ্ডে। ভয়ঙ্কর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অধিকাংশ মানুষ হয় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন, নয়তো চাপা পড়ে গিয়েছেন কাজামাটির নীচে। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।



আরও পড়ুন-BJP ক্ষমতায় এলে বকেয়া সহ কৃষকদের PM-Kisan-এর টাকা দিয়ে দেবে সরকার: Modi



এমন ভয়ঙ্কর বিপর্যয় যে হতেই পারে তা নিয়ে সতর্ক করেছিল ২০১৯ সালের এক সমীক্ষা। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, চামেলি(Chamoli) সংলগ্ন এলাকায় হিমাবাহগুলি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। ১৯৭৫-২০০০ পর্যন্ত যে হারে ওইসব হিমবাহগুলির বরফ গলতো তা এখন  দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও বহু বিজ্ঞানী  ৮ মাস আগেও সতর্ক করে ছিলেন উত্তরাখণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের এমন সব হিমবাহ রয়েছে তা যে কোনও সময় ফেটে যেতে পারে।



বিজ্ঞানীদের সতর্কতা ছিল, শায়ক নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে একটি হিমবাহ। ফলে তৈরি হয়েছে একটি হ্রদ। সেটি যে কোনও সময়ে ফেটে যেতে পারে। ওই সমীক্ষায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জেসুয়া মৌরারা বলেন, হিমালয়ের বরফ দ্রুত গলছে। তা ছবিতেই স্পষ্ট।


আরও পড়ুন-নদের নিমাইয়ের কীর্তনের তন্ময়তায় BJP-TMC 


২০১৯ সালের ওই সমীক্ষায় দেখানো হয়, গত ৪০ বছরে জলবায়ুর পরিবর্তন ভারত, চিন, নেপাল, ভুটানের হিমবাহগুলিকে দ্রুত গলিয়ে দিচ্ছে। তা থেকেই তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বন্যার আশঙ্কা। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড সংলগ্ন হিমালয়ের যে তাপমাত্রা ছিল ২০০০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তা ১ ডিগ্রি বেড়েছে। হিমালয়ের ২০০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই সমীক্ষা করা হয়। 


সমীক্ষায় দেখা যায় ১৯৭৫-২০০০ সাল পর্যন্ত হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহগুলি গড়ে ০.২৫ মিটার গলেছে। ফলে সহজেই বোঝা যায় এর পরিণাম যে কোনও দিন ভয়ঙ্কর হতে পারে।