`অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি`র কায়দায় লোকসভা ভোটের আগে মুখ খুলছেন নাসিরুদ্দিন: ভিএইচপি
ন্দুদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে গোরক্ষার পরামর্শও নাসিরুদ্দিনকে দিয়েছেন ভিএইচপি নেতা সুরেন্দ্র জৈন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাসিরুদ্দিন শাহের 'অসহিষ্ণুতা' মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। ভিএইচপি-র দাবি, নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ''নাসিরুদ্দিনের মন্তব্য শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই নয়, সাম্প্রদায়িকও বটে''। সুরেন্দ্র জৈনের প্রশ্ন,''১৯৮৪ সালে শিখ নিধন, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি হিন্দু হত্যার সময় কেন তাঁর চিন্তা হয়নি? গোধরায় ৫৯ হিন্দুকে যখন জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল, মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও ছিল, তখনও কেন তাঁর রাগ হয়নি''? সুরেন্দ্র জৈনের দাবি, ছবিতে অভিনয়ের জন্য অর্থ পান নাসিরুদ্দিন। এক্ষেত্রেও তাঁকে টাকা দেওয়া হতে পারে। 'অ্যাওয়ার্ড ওয়াপসি'র মতো লোকসভার আগে মুখ খুলেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। হিন্দুদের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে গোরক্ষার পরামর্শও নাসিরুদ্দিনকে দিয়েছেন ভিএইচপি নেতা।
আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের কথায়, আমির খান, মহম্মদ হামিদ আনসারি বা নাসিরুদ্দিন শাহের মতো সাম্প্রদায়িক ও অসহিষ্ণুদের দিয়ে দেশ চলতে পারে না। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের নেপথ্যেও ছিল গরুর প্রতি হিন্দুদের শ্রদ্ধা। জম্মু-কাশ্মীরে সেনা জওয়ানদের যখন পাথর ছুড়ে মারা হয়, তখন নীরব থাকেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
দিন কয়েক আগে নাসিরুদ্দিন শাহের একটি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সমাজের মধ্যে ধর্মের বিষ ঢুকে গিয়েছে। তাঁর সন্তানদের ধর্মের তালিম দেননি। ফলে ভিড় ঘিরে ধরলে তাঁরা হিন্দু না মুসলিম বলতে পারবেন না। ভয় নয়, রাগ হচ্ছে তাঁর। নাসিরুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হন হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। রাজস্থানে একটি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনে থাকার কথা ছিল নাসিরুদ্দিনের। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে উদ্যোক্তাদের না বলে দেন বলিউডের অভিনেতা। পরে নাসিরুদ্দিন জানান, দেশের নাগরিক হিসেবে নিজের চিন্তা ব্যক্ত করেছেন। আর এতেই দেশদ্রোহী তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছেন রাহুল গান্ধী, নজরদারি বিতর্কে তোপ অমিতের