জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য দিতে চান বিজয় মালিয়া
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় ওই ট্যুইটটি করেন বিজয় মালিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে এবার আসরে নামতে চাইছেন দেশ থেকে পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া। তাঁর থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকায় জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচানো হোক। এমনটাই দাবি তুলেছেন আর্থিক তছরূপে অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার ট্যুইট করে তিনি এই দাবি করেছেন। যার ফলে হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। প্রশ্ন উঠেছে, যিনি নিজেই ঋণ না শোধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তিনি কীভাবে এমন প্রস্তাব দেন?
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় ওই ট্যুইটটি করেন বিজয় মালিয়া। তাঁর বক্তব্য, ''কর্নাটক আদালতের কাছে আমি আবারও অনুরোধ করছি যে আমার অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে নেওয়া হোক। সেই টাকায় আমার ব্যাঙ্কঋণ মিটিয়ে দেওয়া হোক। একই সঙ্গে বাঁচানো হোক জেট এয়ারওয়েজকে।''
কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। যা শোধ না করেই তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন ভারত ছেড়ে।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালত তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। ব্রিটেনের সরকারও সম্মত হয় তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য। এখন সেই প্রক্রিয়াই চলছে।
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশের গড় রক্ষায় ৪০ তারকা প্রচারককে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি
আর তার মধ্যেই বিজয় মালিয়া এই দাবি করলেন। একই সঙ্গে তিনি ট্যুইটারে নিজের হতাশাও ব্যক্ত করেছেন। তাঁর কথায়, ''জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে যেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি চেষ্টা করছে, তেমনটা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ব্যাপারে করলে ভালো হত।''
তাঁর দাবি, কিংফিশারকে বাঁচাতে তিনি সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সেই সময় এগিয়ে আসেনি।
প্রসঙ্গত, জেট এয়ারওয়েজে আর্থিক সংকট চরমে। এর জেরে বহু উড়ান বাতিল করা হয়েছে। কর্মী ও আধিকারিকদের বেতনেও সমস্যা হচ্ছে। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৮ হাজার কোটি টাকা। পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে জেটের তরফে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সংস্থার বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েল। ১৯৯৩ সালে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জেট এয়ারওয়েজের সূচনা করেছিলেন নরেশ গোয়েল।