নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষখেকো বাঘের কথা তো শুনেছেন! বাঘখেকো মানুষের কথা শোনেননি নিশ্চয়ই‍! অসমের অটল রঙঢালি এলাকার গ্রামবাসীরা বাঘখেকো মানুষ হিসাবে কুখ্যাত হয়ে গেলেন। একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘকে পিটিয়ে মেরে তার মাংস খেল গ্রামবাসীরা। তাও আবার রীতিমতো পিকনিক করে! এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে আসামে। বন্যপ্রাণ বাঁচানোর হাজার চেষ্টা করে চলেছে বন দফতর ও পশুপ্রেমীরা। কিন্তু তাদের সমস্ত চেষ্টায় যেন জল ঢেলে দিচ্ছে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আসামের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশের পশুপ্রেমীমহলকে। ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসম-নাগাল্যান্ড সীমানায় এর আগে হাতি মেরে তার মাংস খাওয়ার ঘটনা শোনা গিয়েছে। গণ্ডার, বিড়ালের মতো পশু মেরে তাদের মাংস রান্না করে খেয়েছেন কিছু মানুষ। এবার একদল গ্রামবাসী বাঘ মেরে মাংস খেল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, পাঁচ জন মানুষের উপর হামলা চালিয়েছিল সেই চিতাবাঘটি। এর পর নদী পেরিয়ে আরেক গ্রামে ঢুকেও কিছু মানুষের উপর হামলা চালায় প্রাণীটি। নদী পেরিয়ে দ্বিতীয় গ্রামে ঢোকার পর চিতাবাঘটিকে ঘেরাও করে গ্রামবাসীরা। ইট, পাথর, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে চিতাবাঘটিকে মেরে ফেলে গ্রামবাসীরা। তবে তাতেই ক্ষান্ত হননি তাঁরা। এর পর শুরু হয় চিতাবাঘের মাংস খাওয়ার তোড়জোর।


আরও পড়ুন-  কোচিতে বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল ১৮ তলা আবাসন, দেখুন ভিডিয়ো


দা দিয়ে চিতাবাঘটিকে ফালা ফালা করে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তার পর রান্না করে খাওয়া হয় সেই চিতাবাঘের মাংস। কেউ কেউ আবার নৃশংস এই ঘটনা ভিডিয়ো করে রাখেন। একের পর এক ছবিও ওঠে। গোটা ঘটনায় অবাক বনদফতরের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিস। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিস জানিয়েছে, বছর তিনেক আগেও এই এলাকায় চিতাবাঘ মেরে মাংস খেয়েছিল গ্রামবাসীরা।