নিজস্ব প্রতিবেদন- শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ১৭ বার বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। একইসঙ্গে চাপ বাড়ছে মোদী সরকারের উপর। পেট্রোল, ডিজেলের লাগাতার দামবৃদ্ধি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াবে। বাড়ছেও। ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০০ টাকা পার করেছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। মুম্বইতে এরই মধ্যে লাফিয়ে বেড়েছে অটো ও ট্যাক্সির ভাড়া। সাধারণ মানুষের হাঁসফাস অবস্থা টের পাচ্ছে সরকার। কীভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখা যায়, পথ খুঁজছে কেন্দ্র। আর তাই এবার পেট্রোপণ্য GST-র আওতায় আনার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার অসমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) জানিয়েছেন, ''আমরা পেট্রোপণ্য GST-র আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে GST Council. পেট্রোপণ্য  GST-র আওতায় আনতে পারলে সাধারণ মানুষের লাভ হবে। দেশে পেট্রোল, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ সহজ হতে পারে।'' Petroleum and Natural Gas and Steel দফতরের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এদিন আরও জানিয়েছেন, পেট্রোল ও ডিজেলজাত পণ্য জিএসটির আওতায় এলে সাধারণ মানুষের লাভ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে পেট্রোলজাত দ্রব্য থেকে রাজ্যগুলির লভ্যাংশ কমবে।


আরও পড়ুন-  বিপদ বাড়ছে! Corona-র দাপটে সাত রাজ্যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, বাংলায় নতুন করে সংক্রমিত ১৪৮



ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) এর আগে জানিয়েছিলেন, পেট্রোল উত্পাদনকারী দেশগুলির কূটনীতি লাগাতর দামবৃদ্ধির জন্য দায়ি। তিনি জানিয়েছিলেন, উত্পাদনকারী দেশগুলি এখন কম পরিমাণে পেট্রোল উত্পাদন করছে। যাতে চড়া দামে বিক্রি করা যায়। আর তার জেরেই গ্রাহক দেশগুলি সমস্যায় পড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই পরিস্থিতির দ্রুত বদল হবে বলেও আশা করছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। COVID-19 এর জেরে মহামারী পরিস্থিতিও এই লাগাতর দামবৃদ্ধির জন্য দায়ি বলে জানিয়েছিলেন তিনি।