নিজস্ব প্রতিবেদন- কোনওমতেই সংবাদমাধ্যমকে গ্রামে ঢুকতে অনুমতি দিচ্ছিল না উত্তরপ্রদেশের পুলিস প্রশাসন। এভাবেই কেটেছে তিন দিন। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা পেশার তাগিদে বারবার গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। এমনকী রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাথরসে নির্যাতিতার পরিবার লোকদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিস বারবার বাধা দিয়েছে। প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। শেষ পর্যন্ত শনিবার সংবাদমাধ্যমের জন্য গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দিল যোগীর প্রশাসন। চাপের মুখেই যে সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে তা একেবারে স্পষ্ট। আর সংবাদমাধ্যমকে হাতের নাগালে পেয়ে নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজেদের মনের কথা তাঁরা সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, পুলিসের তরফে তাঁদের মেয়ের চিতা ভস্ম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা সেই চিতাভস্ম বিসর্জন দিতে রাজি নন। নির্যাতিতার বৌদির বক্তব্য, ''আমরা শেষ বেলায় আমাদের মেয়ের মুখ দেখিনি। জানি না ওরা আসলে আমাদের মেয়েকে পুড়িয়েছে নাকি অন্য কাউকে নিয়ে এসে দাহ করেছে! সেই চিতায় কে ছিল আমরা তো জানি না। মানুষ ছিল নাকি আমাদের মেয়ে ছিল, নাকি অন্য কোনও মৃত পশুকে নিয়ে এসে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, সবটাই আমাদের কাছে ধোঁয়াশা। তাহলে আমরা কেন চিতা ভস্ম বিসর্জন দিতে যাব! সেই চিতা ভস্ম যে আমাদের মেয়ের তার তো কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের মনে এখনও সন্দেহ রয়েছে, পুলিস রাতের অন্ধকারে যে মৃতদেহ দাহ করেছে সেটি আমাদের মেয়ের নাও হতে পারে!"


আরও পড়ুন-  কেন কাউকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! কারণ জানাল হাথরসের প্রশাসন


নির্যাতিতার ভাই দাবি করেছেন,  "পোস্ট মর্টেমের সময় আমাদের কিছু জানানো হয়নি। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত আমরা হাতে পাইনি। আমাদের বাড়ির কাউকে শেষবেলায় একবারের জন্য ওকে দেখতে দেওয়া হয়নি। আমরা অনেক হাতে-পায়ে ধরে ছিলাম। যেন শেষ বেলায় ওকে একবার দেখতে দেওয়া হয়। আমরা তো জানি এখনও আমাদের মেয়ে হাসপাতলে ভর্তি রয়েছে। ও যে মারা গিয়েছে তার কী প্রমাণ আছে! আর সেই রাতে ওর দেহ জ্বালানো হয়েছে তারই বা কী প্রমাণ আছে! আমরা অজানা কারও চিতা ভস্ম গ্রহণ করব না। আর সেটা বিসর্জন দেবো না।"