কেন কাউকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! কারণ জানাল হাথরসের প্রশাসন

কেন এত কড়াকড়ি! কেন কাউকে সেই গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস! নির্যাতিতার পরিবারের কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না কেন! তাহলে কি উত্তরপ্রদেশের পুলিস কোনও তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে! 

Updated By: Oct 3, 2020, 12:43 PM IST
কেন কাউকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! কারণ জানাল হাথরসের প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদন- সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কাউকেই হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশের পুলিস। বৃহস্পতিবার থেকে ওই গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রামে ও গ্রামের আশেপাশে একসঙ্গে চার জন দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না, জটলা করা যাবে না। গ্রামে ঢুকতে গেলে পুলিস বাধা দিচ্ছে। সাংবাদিকদের পেশার তাগিদে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে যোগীর রাজ্যের পুলিস। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, সবাইকেই প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে পুলিস। গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন এত কড়াকড়ি! কেন কাউকে সেই গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস! নির্যাতিতার পরিবারের কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না কেন! তাহলে কি উত্তরপ্রদেশের পুলিস কোনও তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে! না হলে কেন রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে ফেলবে পুলিস! কেনই বা নির্যাতিতার পরিবারের কারও সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হবে না!

নির্যাতিতা দলিত তরুণীর আত্মীয় বলে দাবি করা এক যুবক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কারও কাছে এখন মোবাইল নেই। পরিবারের সদস্যদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। বাড়ির বাইরে কাউকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী বাথরুম যেতে পুলিসের অনুমতি নিতে হচ্ছে। সেই যুবক আরো দাবি করেন, তাঁর কাকা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। আর তারপরই হাথরসের জেলাশাসক তাঁর বুকে লাথি মারেন। সেই যুবকের কাকার ন শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন করছে উত্তরপ্রদেশের পুলিস প্রশাসন! গ্রামে কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার পেছনে কি কোনো কারণ লুকিয়ে রয়েছে!

আরও পড়ুন-  ''কার দেহ জ্বালিয়েছে জানি না, সবাই রাজনীতি করছে'', দাবি হাথরসে নির্যাতিতার বৌদির

উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রামে কেউ প্রবেশ করলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। হাথরস কাণ্ডের তদন্তের জন্য তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটি ১৪ অক্টোবর-এর মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ওই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তি, কাউকেই এখন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হবে না। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের দাবি, তদন্ত যাতে প্রভাবিত না হয় সেই জন্যই পুলিসকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। আর তাই এখন কাউকে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হবে না।

.