মানুষের প্রশ্ন একটাই, টাকার জোগান কবে স্বাভাবিক হবে?
মানুষের প্রশ্ন একটাই। টাকার জোগান কবে স্বাভাবিক হবে? পরিস্থিতি সামলাতে পঞ্চাশ দিন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, হিসাব বলছে বাজারে টাকার জোগান আটই নভেম্বরের জায়গায় ফিরতে সময় লেগে যাবে এর চেয়ে ঢের বেশি। আটই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের ঘোষণা। তিরিশে ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস। বাস্তব কিন্তু বলছে, আশ্বাসই সার। বাজারে নোটের জোগান আগের জায়গায় ফিরতে সময় লাগবে পঞ্চাশ দিনের অনেক বেশি।৮ নভেম্বর বাজারে ৫০০, ১০০০-এর নোটে ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। নোট বাতিলের এক মাসের মাথায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার অচল নোট জমা পড়েছে। এর বদলে প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। অঙ্ক বলছে এই গতিতে এগোলে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়তে সবমিলিয়ে লেগে যাবে প্রায় ৪ মাস। সরকার বলছে, বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় টাঁকশালে কাজ চলছে। দেশে টাঁকশাল রয়েছে চারটি। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ও কর্নাটকের মহীশূরে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে ছাপানো হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট। আটই নভেম্বর দেশে ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬৫৮ কোটি। ১০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৬৮ কোটি। পাঁচশো-হাজার মিলিয়ে মোট নোটের সংখ্যা ছিল ২ হাজার তিনশো ২৬ কোটি। সূত্রের খবর, পুরনো মেশিনে চারটি টাঁকশালে তিন শিফ্টে কাজ হলে বছরে ৪ হাজার কোটি নোট ছাপা যায়। দু-শিফ্টে কাজ হলে বছরে ছাপা যায় প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি নোট।
ওয়েব ডেস্ক: মানুষের প্রশ্ন একটাই। টাকার জোগান কবে স্বাভাবিক হবে? পরিস্থিতি সামলাতে পঞ্চাশ দিন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, হিসাব বলছে বাজারে টাকার জোগান আটই নভেম্বরের জায়গায় ফিরতে সময় লেগে যাবে এর চেয়ে ঢের বেশি। আটই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের ঘোষণা। তিরিশে ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার আশ্বাস। বাস্তব কিন্তু বলছে, আশ্বাসই সার। বাজারে নোটের জোগান আগের জায়গায় ফিরতে সময় লাগবে পঞ্চাশ দিনের অনেক বেশি।৮ নভেম্বর বাজারে ৫০০, ১০০০-এর নোটে ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। নোট বাতিলের এক মাসের মাথায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার অচল নোট জমা পড়েছে। এর বদলে প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। অঙ্ক বলছে এই গতিতে এগোলে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়তে সবমিলিয়ে লেগে যাবে প্রায় ৪ মাস। সরকার বলছে, বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় টাঁকশালে কাজ চলছে। দেশে টাঁকশাল রয়েছে চারটি। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ও কর্নাটকের মহীশূরে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে ছাপানো হচ্ছে ৫০০ টাকার নোট। আটই নভেম্বর দেশে ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৬৫৮ কোটি। ১০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৬৮ কোটি। পাঁচশো-হাজার মিলিয়ে মোট নোটের সংখ্যা ছিল ২ হাজার তিনশো ২৬ কোটি। সূত্রের খবর, পুরনো মেশিনে চারটি টাঁকশালে তিন শিফ্টে কাজ হলে বছরে ৪ হাজার কোটি নোট ছাপা যায়। দু-শিফ্টে কাজ হলে বছরে ছাপা যায় প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি নোট।
আরও পড়ুন হাওড়া স্টেশনে হামলার হুমকি, হুমকি খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাঁকশালগুলি সর্বোচ্চ সীমায় পৌছে কাজ করলে নোটের জোগান স্বাভাবিক হতে লেগে যেতে পারে প্রায় ৬ মাস। নোট বাতিলের ঘোষণার মাসখানেক আগে অক্টোবরেই দু-হাজার টাকার নোট ছাপানো শুরু হয়ে যায়। এর প্রায় এক মাস পর শুরু হয় পাঁচশো টাকার নোট ছাপাই। সূত্রের খবর, খুব দ্রুত শালবনিতে পাঁচশোর নোট ছাপানো শুরু হচ্ছে। তবে পঞ্চাশ দিনের মধ্যে নোটের জোগান স্বাভাবিক হবে না, এই বিষয়টি যত স্পষ্ট হচ্ছে ততই বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছেন। নোট বাতিলের আগে সরকার যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। একই কথা বলছেন, আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।
আরও পড়ুন বিরাট এবার প্রশংসা পেলেন আরও মারকুটে ব্যাটসম্যানের থেকে!