নিজস্ব প্রতিবেদন: তূণে রাফাল, জিএসটি-এর মতো বাণ তো রয়েছেই। যে কোনও জনসভায় নিয়ম করে প্রয়োগ করেন তিনি। তবে, এ দিন তাঁর বক্তৃার শেষে ধর্মকে নিয়ে এলেন সুকৌশলে। পঞ্জাবের ফরিদকোটে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, আপনাদের ধর্মকে যাঁরা অপমান করেছেন, তাঁরা শাস্তি পাবেনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের অনাবাসী ভারতীয় সেলের প্রধান স্যাম পিত্রোদা। ওই ঘটনাকে ‘যা হয়েছে তা হয়েছে’ বলে পিত্রোদা ব্যাখ্যা করায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ওই তিন শব্দের মধ্যেই কংগ্রেসের অহংকার ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়। এরপর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে কংগ্রেস। পিত্রোদাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন খোদ রাহুল গান্ধী। এ দিন পঞ্জাবে দাঁড়িয়ে আরও এক বার সেই ড্যামেঞ্জ কন্ট্রোলের পথে হাঁটলেন রাহুল।


আরও পড়ুন- মেজাজ হারালেন মণি! সাংবাদিকদের মারার হুমকি দিলেন কংগ্রেস নেতা আইয়ার


মোদী সরকারের নোটবন্দি, জিএসটি সিদ্ধান্তে  বেকারত্ব যে হারে বেড়েছে, তা সামাল দেবে কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় যোজনা (ন্যায়)। এ দিন এমনটাই দাবি করেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু কীভাবে? রাহুলের ব্যাখ্যা, নোটবন্দির কারণে আমজনতা ক্রয়বিমুখ হয়েছেন। যার ফলে  ছোটো ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্পাদনও কমাতে বাধ্য হয়েছেন কারখানার মালিকরা। উত্পাদন না হওয়ার দরুন নির্বিচারে কর্মী ছাটাই হয়েছে। কিন্তু ন্যায় প্রকল্প চালু হলে বছরে ৭২ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাবে ৫ কোটি পরিবার। যা কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে ২৫ মানুষ উপকৃত হবেন। রাহুল এ দিন বলেন, “এর ফলে আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্পাদনও বাড়বে। ফের তাদের ডেকে ডেকে চাকরি দেবে কোম্পানি।” রাহুলের এই মন্তব্যকে জুমলা বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতারা।