নিজস্ব প্রতিবেদন : কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর থেরে এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের হাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। জঙ্গিরা এখন হাজার চেষ্টা করেও আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তেমনভাবে সফল হচ্ছে না। ফলে এবার তারা অন্য টার্গেট খুঁজছে। যেভাবেই হোক, আতঙ্ক ছড়াতে হবে। সব কটি জঙ্গি সংগঠনের উদ্দেশ্য এখন সেটাই। আর সে জন্য উদ্দেশ্যহীনভাবে নিরপরাধ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে তারা। ২৪ অক্টোবর দুজন ট্রাকচালককে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এবার জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারালেন পাঁচজন শ্রমিক। এর আগে একজন আপেল ব্যবসায়ীকেও খুন করেছিল জঙ্গিরা। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাত্ করে কেন নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি! কেন হঠাত্ করে নিরাপত্তারক্ষীদের ছেড়ে সাধারণ মানুষের উপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে জঙ্গিরা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখা যাচ্ছে গত কয়েকদিনে যে ১৩ জন সাধারণ মানুষকে খুন করেছে জঙ্গিরা তাঁরা প্রত্যেকেই অন্য রাজ্যের লোক। অর্থাত্, কাশ্মীরের জঙ্গিদের এখন টার্গেট অন্য রাজ্যের মানুষ, যাঁরা কিনা কাশ্মীরে কাজ করতে এসেছেন! সেনা সূত্র বলছে, এটা জঙ্গিদের নতুন ষড়যন্ত্র। এর থেকে তাদের পাওয়ার কিছুই নেই। তবে এতে সাধারণ মানুষের উপর আতঙ্ক বজায় থাকবে। আর ভিন রাজ্যের মানুষদের উপর আক্রমণ করলে তাদের সন্ত্রাসের বার্তা যাবে কাশ্মীরের বাইরেও। জানা যাচ্ছে, কাশ্মীরের দক্ষিণ অংশে এই কয়েকদিনে সব থেকে আক্রমণ হয়েছে সাধারণ মানুষের উপর। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের টার্গেট করছে জঙ্গিরা। যার জেরে স্থানীয় ব্যবসাতেও প্রভাব পড়ছে। এতে একটা সময় অন্য রাজ্য থেকে শ্রমিকরা কাশ্মীরে কাজ করতে যেতে ভয় পাবে। ফলে স্থানীয় মানুষদের ব্যবসা মার খাবে। 


আরও পড়ুন-  কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৫ শ্রমিক



২৪ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়া জেলায় আপেল বোঝাই তিনটি ট্রাকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাথালি ফায়ারিং করে তিনটি ট্রাক লক্ষ্য করে। দুজন ভিন রাজ্যের ড্রাইভার এই হামলায় প্রাণ হারান। একজন ভিন রাজ্যের ড্রাইভার গুরুতর আহত হন। মৃত দুই ড্রাইভারের একজনের বাড়ি রাজস্থানে। অন্যজন পাঞ্জাবের। আহত ড্রাইভারও পাঞ্জাবের বাসিন্দা। এর পরল ১৪ অক্টোবর রাজস্থানের ট্রাক ড্রাইভার শরিফ খানকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ১৬ অক্টোবর পাঞ্জাবের দুজন আপেল ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। একজন তাতে মারা যান। আরেকজন গুরুতর জখম হন। কাশ্মীরে শান্তি বিঘ্নিত করতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি।