বিরোধীরা একজোট হচ্ছে, কাজের সময়ে তা দানা বাঁধবে তো!
ব্রিগেড সমাবেশেও বিরোধীদের এককাট্টা করতে চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভায় হাজির হয়েছিলেন ২১ জন বিরোধী নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় রাজনীতিতে একাধিকবার একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথ থেকে শুরু করে মমতার বিগ্রেড, রবিবার ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানেও দেখা গেল বিরোধীদের ভিড়। কে নেই সেখানে? রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে স্ট্যালিন। ইয়েচুরি থেকে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেমন্ত সোরেনকে ঘিরে ছিলেন বিরোধী নেতারা। কিন্তু এই বিরোধী ঐক্যের কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না জাতীয় রাজনীতিতে।
আকও পড়ুন-শনিবারের পর রবিবার আরও নামতে পারে পারদ, পড়তে পারে রেকর্ড ঠান্ডা
গতবছর ১৩ মে লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার ঠিক এক বছর আগে এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। মমতা, ইয়েচুরি, নবীন পট্টনায়ক, রাহুল, সোনিয়া-সহ দেশের বহু বিরোধী নেতাই ছিলেন কুমাস্বামীর শপথের মঞ্চে। কিন্তু জাতীয় কোনও ইস্যুতেই জোরদার মোদী বিরোধিতা করতে পারেনি বিরোধীরা।
ব্রিগেড সমাবেশেও বিরোধীদের এককাট্টা করতে চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভায় হাজির হয়েছিলেন ২১ বিরোধী দলের নেতা। কিন্তু এক বছরের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বিরোধীরা কোনওভাবেই একজোট হতে পারেনি। উত্তর প্রদেশে মায়বতী-অখিলেশ যাদবও একজোট হলেও শেষপর্যন্ত তা টেকেনি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট যেতে আগেই অস্বীকার করেছিলেন মায়াবতী। ফুলপুর ও গোরক্ষপুর উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পরও জোটের সমীকরণ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোদীরা।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজিপি জোট ভাঙাতে সক্ষম হয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি। তাও সেই সুযোগ করে দিয়েছে খোদ বিজেপিই। দলের গোঁয়াড়তুমিতেই মসনদ গিয়েছে ফড়ণবীসের। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন-এই যুবসমাজের জাতপাত, বৈষম্য, স্বজনপোষনে বিশ্বাস নেই, বছরের শেষ ‘মন কি বাতে’ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
বিরোধী ঐক্য বলে চিত্কার শোনা গেলেও লোকসভা নির্বাচনে তার কোনও নির্দশন মেলেনি। হাল আমলে এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও তা দেখা যায়নি। লোকসভায় বিজেপির ঐক্য ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে বিরোধীরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ভোটাভুটিতেও রাজ্যসভাতেও হার ছন্নছাড়া বিরোধীরা। তাই ঝাড়খন্ড বিধানসভায় নির্বাচনে বিরোধীদের প্রাপ্তি একটাই, ৪ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে যোগ হল আরও এক রাজ্যের নাম। ফলে এক বছরে পাঁচ রাজ্যে বিজেপি গদিচ্যুত হয়েছে বলে বিরোধীদের আহ্লাদের সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে এই ঐক্য ভবিষ্যতে কাজে আসবে তো!