নিজস্ব প্রতিবেদন : সশরীরে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিকে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। তবেই রেশন দেওয়া হবে। রেশন দোকান থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় স্বামীকে। এদিকে স্ত্রী অসুস্থ। কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে দোকানে আসা সম্ভব নয়। ফলে অসহায় স্বামীকে রেশন ছাড়াই খালি হাতে ফিরতে হয় দোকান থেকে। আর তার জেরেই 'অনাহারে' মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা এক মহিলার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন ওই মহিলা। ফলে স্বামীর সঙ্গে রেশন আনতে যেতে পারেননি তিনি। স্ত্রীকে ছাড়া একাই রেশন আনতে যান স্বামী। কিন্তু অভিযোগ, স্ত্রীয়ের আঙুলের ছাপ ছাড়া রেশন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন রেশন দোকান মালিক। রেশন না পাওয়ায় ওই মহিলাকে 'অনাহারে' থাকতে হয়। আর তার ফলেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।


এই ঘটনাকে অত্যন্ত 'লজ্জাজনক' বলে উল্লেখ করে কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব। একইসঙ্গে এরকম ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন মুলায়ম পুত্র। পাশাপাশি এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মহকুমা শাসক। অতি দরিদ্র ওই পরিবারের অন্ত্যোদয় কার্ড ছিল বলেও তাঁর দাবি।


আরও পড়ুন, গান্ধীর নাম থেকে মহাত্মা ছেঁটে দিন, 'ফালতু মামলা' দায়ের করে জরিমানার কোপে গবেষক


প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ডে মৃত্যু হয় ১১ বছরের এক কিশোরীর। সেক্ষেত্রেও পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, আধারের সঙ্গে তাদের রেশন কার্ড লিঙ্ক না থাকায় কয়েক মাস ধরে তাদের রেশন দেওয়া হয়নি। আর তাতেই অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। এবার উত্তরপ্রদেশেও বায়োমেট্রিক ছাড়া রেশন দিতে অস্বীকার এবং তার জেরে আবারও 'অনাহারে মৃত্যু'র অভিযোগ সামনে আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে গেরুয়া প্রশাসন।